মমতার পথেই পথে নামলেন লকেট, পটাশপুরে পুলিশি হেফাজতে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি
GNE NEWS DESK: বৃহস্পতিবার পুলিশি হেফাজতে বিজেপি কর্মী মদন ঘড়াই এর মৃত্যু হয়।এরপরই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিবিআই তদন্তের দাবিতে বিজেপি সাংসদ তথা দলের সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায় কলকাতার রাজপথে মিছিলে নামেন। পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে রাস্তায় নেমে পড়েন তিনি। তার স্ত্রী দাবি করেছে পুলিশি হেফাজতে তাকে বেধরপ মারধোর করা হয় এরফলেই তার মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার জন্য পটাশপুর থানার ছোট বাবু অমিতকে দায়ী করেছেন মৃতের স্ত্রী।
তার দাবি থানার ছোটো বাবু তার স্বামীকে বেধরোপ মারধোর করেন তার ফলেই তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি এও বলেন ওই থানার ওসি চন্দ্রকান্ত শাসমল তৃণমূলের দাসে পরিণত হয়েছে। এদিকে অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে পটাশপুর থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পুলিশি হেফাজতে মদন ঘোড়াইকে কোনরকম মারধোর করা হয়নি পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে সেখানেই তার মৃত্যু হয় মঙ্গলবার।
ভাইপোর বাদলে কাকা মদন ঘড়াই ছিলেন পুলিসি হেফাজতে। তার ভাইপোর নামে এলাকারই এক নাবালিকাকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযুক্ত ভাইপোকে না পেয়েই তার কাকাকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয় ২৬ শে সেপ্টেম্বর। তার সাথে সাথে তার ভাইপোও বিজেপি দলের কর্মী ছিল। অন্যদিকে নাবালিকার পরিবার ছিল তৃণমূল সমর্থক।
মদন ঘরাইয়ের মৃত্যু কে কেন্দ্র করেআগেই হাইকোর্টে গিয়েছিল বিজেপি। হাইকোর্টের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় বার মদন ঘড়াইয়ের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রথমবার ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে তবে এইবার ময়নাতদন্ত করা হবে আরজিকর হাসপাতালে। বিচারপতি রাজ শেখার মন্থা ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি করার নির্দেশ দিয়েছে এবং তারপর ২১ শে অক্টোবর সেই রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা সেন্ট্রাল এভিনিউ তে মিছিল করেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। পুলিশ তাকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে পথেই বসে পড়েন সে।
বিরোধীনেত্রী থাকার সময় একই ধরনের আন্দোলন করেছেন মমতা। রাজনীতি কারবারিদের বক্তব্য, মমতা যখন বিরোধী নেত্রী ছিলেন তখন তাকেও কারুর মৃত্যু ঘটলে সিবিআই তদন্তের দাবিতে তাকেও কলকাতার রাজপথে মিছিল করতে দেখা যেত। তাদের অভিমত লকেট চট্টোপাধ্যায় সেই পথেই এগোচ্ছেন।
এদের তৃণমূলের তরফে মন্তব্য করা হয়েছে কারুর মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করে না তৃণমূল। বিজেপিকে কটাক্ষ করে তারা বলেন কারুর মৃত্যু হলে সেটি নিয়ে রাজনীতিতে নেমে পড়েন বিজেপি।