বাঁকুড়া থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে আসলো ৭০টি হাতির পাল। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই বিষ্ণুপুর বনবিভাগের এলাকা অতিক্রম করে হাতির দল পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রবেশ করেছে। সেই খবর প্রকাশিত হতেই ঘুম উড়েছে মেদিনীপুরের জঙ্গল সংলগ্ন এলাকাগুলির বাসিন্দাদের।
সাম্প্রতিক সময়ে হাতির আক্রমণে একাধিক মৃত্যু ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে। একটি দলছুট দাঁতালকে বাগে আনতে মঙ্গলবার সারাদিন নাকানিচোবানি খেয়েছে বন দফতর৷ হাতিটির তাড়ায় আছাড় খেয়ে জখম হয়েছেন খোদ রেঞ্জার। অবশেষে গোপগড় ইকোপার্কে সেটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে কাবু করা হয়৷ তারই মধ্যে মঙ্গলবার রাতে প্রায় ৭০টি হাতির দল বাঁকুড়ার বনাঞ্চল থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে এসেছে বলে খবর বন দফতর সূত্রের।
জানা গিয়েছে, আমন ধান পাকার মরশুমে খাবারের সন্ধানে দফায় দফায় প্রায় ৮০টি হাতি বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর বনাঞ্চল, বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগের বিভিন্ন জঙ্গলে ঘাঁটি গাড়ে। প্রায় ৪ মাস যাবৎ হাতিগুলি ঐ এলাকাতেই ছিল। এবার বাঁকুড়া বন বিভাগের কড়া নজরদারির মধ্যে প্রায় ৭০টি হাতি পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রবেশ করেছে বলে জানা গিয়েছে। বাকি হাতিগুলিও শীঘ্রই সেই পথ অনুসরণ করতে পারে বলে ধারনা বন দফতরের৷ হাতিগুলি এখন রূপনারায়ণ বন বিভাগের অধীনস্থ গোয়ালতোড় এবং গড়বেতায় অবস্থান করছে। হুমগড়ের হদহদি, গড়বেতার জামডোবা, বাগডোবা এলাকা থেকে হাতিগুলিকে ঝাড়খণ্ডের দিকে নিয়ে যাওয়াই এখন উদ্দেশ্য বন দফতরের।