“গরুচোর আসছে কেশপুরে”, অভিষেকের সভা নিয়ে কটাক্ষ বিজেপি নেতা অরূপ দাসের

চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য

আগামী ৪ ঠা ফেব্রুয়ারি কেশপুরে সমাবেশ করতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অরূপ দাস। তিনি বলেন, “গরুচোর আসছে কেশপুরে। ওখানকার মানুষ নিজেদের গরু সামলে রাখুন।”

কেশপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার প্রাক্কালে বেশ কিছু বিজেপি নেতার তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনার খবর রটেছে জেলার রাজনৈতিক মহলে৷ সেই প্রসঙ্গে অরূপবাবু বলেন, “চোরেদের সাথে কেউ যাবে না। গরুচোর আসছে কেশপুরে। ওখানকার মানুষদের বলবো নিজেদের গরু সামলে রাখতে৷ দেখবেন, গরুচোর ওখানকার সব গরু চুরি করে নিয়ে না চলে যায়।” কেশপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বর অভিযোগ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “কেশপুরকে সবাই চিনেছেন তৃণমূলের খেয়োখেয়ি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, কাটমানির মধ্য দিয়ে৷ গোষ্ঠীকোন্দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন খোদ মন্ত্রী শিউলি সাহা। এটি তৃণমূলের নিজস্ব সংস্কৃতি। যতদিন তৃণমূল থাকবে, গোষ্ঠীকোন্দল থাকবে।” কেশপুর কলেজে সমস্যা নিয়ে তিনি বলেন, “কেশপুর কলেজে বহিরাগতদের ঢুকিয়ে শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করেছেন মন্ত্রী শিউলি সাহা।”

আরও পড়ুন:  কেশপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের অভিযোগ পুনরায়, জখম ৪ জন

রাজ্যপ্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে অরূপ দাস বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা দেশে সবচেয়ে বড় দুর্নীতি। তৃণমূলের অঞ্চল প্রধান, সভাপতি, জেলা নেতৃত্বরা পার্টি অফিসে বসে আবাস যোজনার লিস্ট বানিয়েছে আর নিজেদের নেতা কর্মীদের দিয়েছে। শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আবাস যোজনার তালিকা থেকে ৯০ হাজার ভুয়ো প্রার্থীর নাম বাতিল হয়েছে।” আবাস দুর্নীতি প্রসঙ্গে মানসবাবু পঞ্চায়েতগুলিকে কার্যত ক্লিনচিট দিয়ে বলেছিলেন, “২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর কেন্দ্রীয় সরকারের চাপে পঞ্চায়েতগুলি শপথ নেওয়ার আগেই তালিকা পাঠাতে হওয়ায় ভুল নাম ঢুকে গেছে।” তা নিয়ে অরূপবাবুর প্রতিক্রিয়া, “মানসবাবুকে দিদির গলায় গলা মিলিয়ে বলতেই হবে, নাহলে ওনার মন্ত্রীত্ব চলে যাবে৷ কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্প হলেও পুরো বিষয়টি পঞ্চায়েত ও রাজ্য প্রশাসনের হাতে৷”

আরও পড়ুন:  “বঙ্গ বিজেপি মানে দিতে দেবো না, করতে দেবো না”, নদী সংস্কার ও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে আক্রমণ মানস ভূঁইয়ার

জেলায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে তৃণমূলে ‘দিদির দূত’ পাওয়া নিয়ে অরূপবাবু বলেন, “কোনো ভদ্রলোক তৃণমূল কংগ্রেস করেন না। সমস্ত চোর, সমাজবিরোধীরা তৃণমূল করে। তাই ভালো মানুষ ও ভালো কর্মী আস্তে আস্তে সরে গেছেন। তাই ‘দিদির দূত’ নয় ‘দিদির ভূত’ যাচ্ছে৷ চারিদিকে চোর৷ একজন শিক্ষামন্ত্রী ৫ জন প্রেমিকা, কয়েক হাজার কোটি টাকা নিয়ে জেলে যাচ্ছেন!” তাঁর কটাক্ষ, “এই চোরেরা যখন ‘দিদির ভূত’ হয়ে যাবেন, সর্বস্ব চুরি করবেন। তাই সাধারণ মানুষদের বলবো লাঠি ঝাটা নিয়ে দিদির ভূতেদের তাড়া করুন, ঘরে ঢুকতে দেবেন না।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ