ব্রিটিশ শাসনে দেশের প্রথম রাজনৈতিক বন্দিনী রানি শিরোমণি। তাঁর স্মৃতিবিজড়িত কর্ণগড় হেরিটেজ তকমা ও প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের স্বীকৃতি পাক এই দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। বৃহস্পতিবারের প্রশাসনিক বৈঠকে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টিতে মান্যতা দিয়ে নিজে তত্ত্বাবধানে দায়িত্ব নিয়েছেন। উচ্ছাসে ভেসেছে পশ্চিম মেদিনীপুর। সেই সঙ্গে রাজ্যের ইতিহাস সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করতে ও ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে রানী শিরোমণির অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে পাঠ্যপুস্তকে রানি শিরোমণি ও কর্ণগড় অন্তর্ভুক্তিকরণের দাবি উঠেছে।
পাঠ্যপুস্তকে রানি শিরোমণি ও কর্ণগড় অন্তর্ভুক্তিকরণের দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হল। প্রস্তাব পেশে উপস্থিত ছিলেন তীর্থঙ্কর ভকত, মুস্তাফিজুর রহমান, নিসর্গ নির্যাস মাহাতো প্রমুখরা। বিগত ২৫ বছর ধরে রানি শিরোমণি ও কর্ণগড়ের স্বীকৃতির জন্য লড়াই করছেন আইনজীবী তীর্থঙ্কর ভকত। তিনি মনে করেন, পাঠ্যসূচীতে রানি শিরোমণি স্থান পেলে তবেই দেওয়া হবে প্রকৃত স্বীকৃতি। প্রসঙ্গত, আইনজীবী ভকত তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবেদন জানিয়েছিলেন, রানি শিরোমণির নামাঙ্কিত ট্রেন চালু করার জন্য, যা মান্যতা পেয়েছিল।