“বঙ্গ বিজেপি নিশ্চিন্তে চুরি করতে দেবে না”, মানসের পাল্টা দিলেন দিলীপ ঘোষ

"বঙ্গ বিজেপি নিশ্চিন্তে চুরি করতে দেবে না", মানসের পাল্টা দিলেন দিলীপ ঘোষ

মঙ্গলবার সবং ব্লক তৃণমূল কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য বিজেপিকে আক্রমণ করে মানস ভূঁইয়া বলেছিলেন, “বঙ্গ বিজেপি শুধু বলছে, ‘দিতে দেবো না, করতে দেবো না! নাম কাটাচ্ছি আরও কাটবো। ধ্বংস করে দেবো বাংলাকে।’ বঙ্গ বিজেপি মানে বিশৃঙ্খলা!” তারই পাল্টা উত্তর দিলেন দিলীপ ঘোষ। বললেন, বঙ্গ বিজেপি ওনাদের নিশ্চিন্তে চুরি করতে দেবে না।

বুধবার মেদিনীপুর গ্রামীণ পশ্চিম মণ্ডলের ১নং ধেড়ুয়া অঞ্চলে বিজেপির কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেখানে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি পাল্টা জবাব দেন। মানসবাবুর বঙ্গ বিজেপি নিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, “বঙ্গ বিজেপি ওনাদের চুরির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে৷ ওনারা চাইছেন নিশ্চিন্তে চুরি করতে সেটা আমরা করতে দেব না।”

আরও পড়ুন:  Chandrakona: ধৃত চোর জামিন পাওয়ায় ক্ষোভ, থানার সামনে বিক্ষোভ স্থানীয়দের

কুড়মিদের তফসিল উপজাতি হিসেবে সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলন প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, “বহু রাজ্যে বহু জাতিকে উপজাতি করা হচ্ছে যাঁরা বঞ্চিত আছেন। পার্লামেন্টে বিল পাশ হয়েছে৷ এখানেও যে দাবিগুলো আসছে সেগুলো বিচার করার জন্য সংস্থা আছে৷ তারা বিচার করে দেখছেন। যদি প্রাপ্য হন, সরকার তাদের স্বীকৃতি দেবে।” আবাস যোজনা দুর্নীতি নিয়ে মানস ভূঁইয়া মঙ্গলবার বলেছিলেন, “২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর কেন্দ্রীয় সরকারের চাপে পঞ্চায়েতগুলি শপথ নেওয়ার আগেই তালিকা পাঠাতে হওয়ায় ভুল নাম ঢুকে গেছে।” এই প্রসঙ্গে এইদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “ওনারা নিজেরাই বলছেন ১৭ লক্ষ নাম তাঁরা বাদ দিয়েছেন। তার দায়টা কে নেবেন? মানসবাবু কি কাটমানি খেয়েছেন? প্রত্যেকটি মানুষ জানেন সবার কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে। যারা টাকা দিয়েছেন তারা বাড়ি পেয়েছেন, যারা দেন নি বাড়ি পাচ্ছেন না৷ এটা দুর্নীতি প্রমাণ হয়ে গেছে৷ দুই বছর আগে তৃণমূলের নেতারা কাটমানির টাকা ফেরত দিয়েছেন। সবাই জানেন। মানসবাবু বললে কি চাপা পড়ে যাবে!”

আরও পড়ুন:  ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! কেশপুর কলেজে শিউলি সাহাকে ঘিরে বিক্ষোভ

কেশপুরে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়েও তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “কেশপুর চিরদিনের উপদ্রুত এলাকা, সমাজ বিরোধীরাই এলাকার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং তারাই তৃণমূলে ঢুকেছে। গত বারে ওখানকার যিনি বিধায়ক তাঁকে দুই বছর এলাকা থেকে বহিষ্কার করে ছিল, ওখানে আসেননি, দলই বারণ করেছিল। ওদের দলের ঝামেলা ওরা মেটাক, এতে সাধারণ মানুষ কষ্ট যেন না পান।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ