দুর্নীতির অভিযোগে এখন উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। গরু পাচার কান্ডে এখন সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত মন্ডল। ইডির হাতে গ্রেপ্তারির পর এখন আলিপুর সংশোধনাগারের হাই সিকিউরিটি জোনে রয়েছেন বর্তমানে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে পথে নামলো বামেরা। মেদিনীপুরের রাস্তায় মঙ্গলবার জেলাশাসক দফতর ঘেরাও অভিযান। একই মঞ্চে তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন সিপিআইএম-এর পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ ও সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
মেদিনীপুরের এই দিনের প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়ান সুশান্ত ঘোষ। এমনকি বিগত ভোটগুলিতে দেওয়া তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের সম্পত্তি কি পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর কটাক্ষ, “সাংবাদিক বৈঠক করে বলতে হচ্ছে সবাই চোর নয়। তাহলে কে চোর সেটা বলে দিন। ফয়সালা হয়ে যায়।” সুশান্তের তির্যক আক্রমন, “আবার হাইকোর্টে আপিল করতে গেছেন। যাতে তদন্তের দায়িত্ব কোনমতেই ইডিকে না দেওয়া হয়। ইডি তদন্ত করলে সর্বনাশ হয়ে যাবে।”
সিপিএম জেলা সম্পাদকের সংযোজন, “কাকে এর পরে কোমরে দঁড়ি বেঁধে নিয়ে যাওয়া হবে, এই আতঙ্কে তৃণমূল নেতাদের ঘুম চলে গেছে।” এদিনের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। প্রতিবাদ মিছিলে বামেদের স্লোগান ওঠে, ‘চোখে চোখ রেখে আরো জোরে মারো টান, চোরেদের রানী হবে খান খান।’