মেদিনীপুরে বামেদের জনসমাবেশ, তীব্র আক্রমণ মীনাক্ষী ও সুশান্তের

মেদিনীপুরে বামেদের জনসমাবেশ, তীব্র আক্রমণ মীনাক্ষী ও সুশান্তের

 

চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
মেদিনীপুরে জনসমাবেশ বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই এর। ৬-৭ হাজার মানুষের সমাবেশের মঞ্চে রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকারমমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করলেন ডিওয়াইএফআই এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। দিলেন জোট বেঁধে আন্দোলনের বার্তা। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সিপিএমের সম্পাদক সুশান্ত ঘোষও।

এইদিন নিজের বক্তব্যে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় কটাক্ষ কিরেন, গ্রামে গ্রামে দিদির দূত নয়, অবধূতরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি বলেন, “অসংখ্য বাম আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত মানুষ শহীদ হয়েছেন, কিন্তু এই ঝান্ডা কাটমানিতে কেনা ঝান্ডা নয়৷” তিনি কটাক্ষ করেন, “এরা মারামারি করছে কে সুভাষচন্দ্র বসুর গলায় আগে মালা দিয়েছে তা নিয়ে৷” অভিযোগ করেন, তার বাড়িতে আবাস যোজনার ছাদ হচ্ছে যার চার তলা বাড়ি আছে, রোজগার আছে, ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স আছে৷ বলেন, “যারা নিজেদের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছেন তারাও বলতে পারছেন না নিজের যোগ্যতায় পেয়েছেন। আস্থা, ভরসা সব ভেঙে দেওয়া হচ্ছে৷ গোটা শিক্ষাব্যবস্থাকে নীচে নামিয়ে দিচ্ছে।”

আরও পড়ুন:  Medinipur: ১০ ম বর্ষে দেবী চক্রবর্তী স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের বাণী-বন্দনা, উদ্বোধনে আসছেন শ্রাবন্তী

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সিপিএম এর সম্পাদক সুশান্ত ঘোষও নিজের বক্তব্যে শাসক দলের উদ্দেশ্যে আক্রমণ শানান। শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে বলেন, “তিনি ছিলেন তখন ওই দলের কচি নেতা, তারপরে ডাঁসা নেতা হয়েছেন, এখন পাকা নেতা হয়ে বুঝেছেন এই দলটা আর চলবে না। তাই সেই দলটা ত্যাগ করে দিয়ে তিনি এখন দিল্লীর পতাকা ধরে রাজ্যের বিরোধী নেতা হয়েছেন।” তাঁর কটাক্ষ, “যদি রাজ্যের বড়ো চোর দুজন থাকেন, একটা তিনি, আরেকটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সবচেয়ে বড় চোরের তিনি হলেন অনুপ্রেরণাদাত্রী। তাঁর অনুপ্রেরণা ছাড়া সূর্য ওঠে না, সূর্য ডোবে না। তিনি জানতেন না আজ এত লুট চলছে এত দুর্নীতি হয়েছে!” কটাক্ষ করে বলেন, “১২০ টাকা লিটারের মদ এখন হয়েছে ১৫৫ টাকা। এই ৩৫ টাকা করে যায় ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে। আমাদের রাজ্যে ১ মাসে ২৪ লক্ষ মদের বোতল উৎপাদন হয়। প্রত্যেক বোতল থেকে ৫ টাকা করে অর্থাৎ ২৪ লক্ষ X ৫ = ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে যায়।” আরও বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল দিনের বেলায় মাগুর মাছ কাটতো, বিক্রি করতো, আর একটা বনেদিয়ানা ছিল, সন্ধ্যেবেলা কাঁসার গ্লাসে দেশি মদ খেতেন!”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ