কলাইকুন্ডা রেঞ্জের সাঁকরাইল বিটের সাতভান্ডারীর এক চাষজমিতে একটি হস্তিশাবকের দেহ উদ্ধার হয় রবিবার রাতে। সেই শাবকের দেহের সঙ্গে তার জড়ানো ছবি ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যমে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বন দফতরের কর্মীরা শাবকটির দেহ উদ্ধারের সময় তারের দেখা পাননি। হস্তিশাবকটির মৃত্যুর কারণ নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য।
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে বাঁশের খুটির তারের সঙ্গে শুঁড় জড়ানো অবস্থায় মৃত হস্তিশাবকটির দেহ দেখা গিয়েছে। কিন্তু বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহ উদ্ধার কালে বাঁশের খুটি থাকলেও কোনো তার ছিল না। সমাজমাধ্যমের ছবি দেখে ইতিমধ্যেই বন দফতরের তরফে শুরু হয়েছে তদন্ত। শাবকের মৃতদেহের শুঁড়ে ক্ষত ছিল বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ধানজমিতে বৈদ্যুতিক তার বিছানো ছিল। সাঁকরাইল বিটের হাড়িভাঙা জঙ্গল থেকে শাবক সহ ১১টি হাতির দল সাতভান্ডারী গ্রামে ধানজমিতে নেমে এলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে হস্তিশাবকটির মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি লালগড় ব্লকের লকাট গ্রামে চাষজমিতে এক হস্তিশাবকের দেহ পাওয়া গিয়েছিল। সেই মৃতদেহের শুঁড়েও ছিল ক্ষত। অনুমান, দুই ক্ষেত্রেই জমিতে হাতি তাড়াতে ছড়িয়ে রাখা বিদ্যুতের তারে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়েই মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়ে হস্তিশাবকটির দেহ। বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে খড়গপুর ডিএফও-র তরফে।