প্রেমে পড়েছিল মেয়েটি। কিন্তু প্রেমে পড়ে ঈষৎ প্রগলভ হয়ে পড়েছিল। প্রেমিককে ডেকে প্রেম নিবেদনের পর স্কুল চত্ত্বরেই করেছিল চুম্বন। অপরাধে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীর স্কুলে আসাই বন্ধ করে দিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের রত্নেশ্বরবাটি হাইস্কুলে।
জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীটি স্কুল চত্ত্বরেই প্রেমিককে চুম্বন করে। তা দেখে ফেলে অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের জানিয়ে দেয়। স্কুলের তরফে ডেকে পাঠানো হয় ছাত্রীর অভিভাবকদের। সেখানে অকুতোভয় ছাত্রীটি স্বীকার করে নিজের প্রেমের কথা। এরপরেই নেমে আসে স্কুলের ফতোয়া। ছাত্রীটির কারণে ‘স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে’, তাই তার স্কুলে আসা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও তাকে টেস্ট পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে।
- Advertisement -
কিন্তু স্কুলের সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আজকে অতি অল্প বয়সেই ছাত্রছাত্রীদের কাছে বিনোদনের হরেক পসরা হাজির। লকডাউনের সময়ে অনলাইন ক্লাসের দৌলতে ইন্টারনেট সার্ভিস সহ স্মার্টফোনও উপলব্ধ। ফলে বয়স জনিত উচ্ছলতা ও প্রগলভতায় অনেক ক্ষেত্রেই ছাত্রছাত্রীরা নীতিবোধ অতিক্রম করছে। অথচ এই ধরনের ঘটনা ঘটলে তাদের অভিভাবক ও বিশেষত শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপরেই সামাজিক দায়িত্ব বর্তায় ছাত্রছাত্রীদের সঠিক উপদেশ দিয়ে মার্গ দর্শন করানোর। এক্ষেত্রে একজন শুধুমাত্র দোষী সাব্যস্ত করে একজন ছাত্রীর শিক্ষার অধিকারের উপর কোপ কতটা যুক্তিযুক্ত সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।