চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট। জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে গতবারের নির্বাচনের তুলনায় অনেক বেশি প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন বামফ্রন্টের তরফে। বিগত নির্বাচনগুলিতে সারা রাজ্যের মতই একদা বামগড় হিসাবে পরিচিত জঙ্গলমহলে ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে বামেরা। ফলে আসন্ন ভোটে ভাল ফল করতে মরিয়া বামেরা। সেই পরিস্থিতিতে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের’ বার্তা দিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের কনিষ্ঠতম প্রার্থী মধুশ্রী মজুমদার। ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের ১৭ নং আসনে সিপিআইএম প্রার্থী তিনি।
GNE Bangla-র প্রতিনিধিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের কনিষ্ঠতম প্রার্থী মধুশ্রী মজুমদার বলেন, “সিপিএম পার্টিতে বয়স বিষয় না। এই দলে পুরো দল কাজ করে আর আমি শুধুমাত্র দলের একজন প্রতিনিধি।” রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে ব্যতিরেকে মানুষের বামদলকে ভোট দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা মনে করিনা বিজেপিকে বিরোধী দল বলা যায়। কারণ একটা কয়েনের এইপিঠ তৃণমূল, ওপিঠ বিজেপি।তৃণমূল-বিজেপি দুটি একই দল। বিজেপির প্রধান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একসময় তৃণমূলে ছিলেন।” তাঁর বার্তা, “আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছি। লড়াইটা তৃণমূল-বিজেপি উভয়েরই বিরুদ্ধে।”
প্রতিপক্ষদের বিষয়ে বাম সমর্থিত প্রার্থী বলেন, “মানুষ ঠিক করবেন তাঁরা চোরদের গ্রহণ করবেন নাকি যাঁরা মানুষের হয়ে কাজ করছেন, লড়াইয়ে সঙ্গে আছেন সেই বামপন্থীদের সঙ্গে থাকবেন।” এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাড়গ্রামে একাধিক আসনে প্রার্থী দিয়েছেন কুড়মিরা। কুড়মিদের জাতিসত্ত্বার লড়াইকে সমর্থন করে মধুশ্রীর বিশ্লেষণ, “যেকোনও জাতিসত্ত্বার লড়াইকে আমরা সমর্থন করি। একটি সামাজিক সংগঠন নিজেদের জাতিসত্ত্বার জন্য লড়াই করেছে, এটা কেন তৃণমূল বা বিজেপি যাঁরা সরকারে আছেন দেখবেন না। এটা পুরোপুরি প্রশাসনের দোষ।” জয়ী হয়ে জেলা পরিষদের প্রতিনিধি হিসাবে নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্র হাড়দা, কাকড়, শিলদা অঞ্চলে প্রধান দুই সমস্যা- পানীয় জল ও খারাপ রাস্তাঘাটের সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সিপিআইএম প্রার্থী।