চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের বায়ুসেনা ঘাঁটি কলাইকুণ্ডা থেকে যাত্রীবাহী বিমান উড়ান শুরুর ছাড়পত্র পেল। যাত্রীবাহী এয়ারবাস ৩২০ বা বোয়িং ৭৩৭ জাতীয় যাত্রীবাহী বিমান কলাইকুণ্ডা থেকে ওঠানামার ছাড়পত্র দিয়েছে বায়ুসেনা ও কেন্দ্র। একই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে আলিপুরদুয়ারের হাসিমারা বিমানঘাঁটিতেও। এর ফলে জঙ্গলমহল ও ডুয়ার্সের পর্যটন মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ সদর্থক প্রভাব পড়বে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স ও দক্ষিণে জঙ্গলমহল পর্যটনস্থল হিসাবে বরাবরই জনপ্রিয়। কিন্তু উত্তরবঙ্গে একমাত্র বিমানবন্দর বাগডোগরা। অন্যদিকে পর্যটনস্থল ছাড়াও শিল্পতালুক হিসাবে জঙ্গলমহলের বিশেষ গুরুত্ব আছে। কিন্তু নিকটবর্তী বিমানবন্দর দমদমে। ফলে সড়কপথের উপর অনেকটাই নির্ভর করতে হয়৷ সেই কারণে পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্স ও ইন্ডাস্ট্রির তরফে প্রথম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলাইকুণ্ডা বায়ুসেনা ঘাঁটিকে যাত্রবাহী বিমান ওঠানামার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে কিনা সেই বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি রাজ্যের হাসিমারা ও কলাইকুণ্ডা বিমানঘাঁটিতে যাত্রীবাহী বিমান ওঠানামার বিষয়ে কেন্দ্র ও বায়ুসেনার তরফে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বিমান চালানো শুরুর জন্য টেন্ডার ডাকাও হয়েছে। বিমান চালানোর ক্ষেত্রে বিমানের ২০% সিটের ভাড়া রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার যৌথ ভাবে বহন করবে৷ ফলে চুক্তি অনুযায়ী টেন্ডারের মাধ্যমে নির্বাচিত বিমান সংস্থাগুলিকে সরকার নির্দেশিত সুনির্দিষ্ট ভাড়া বজায় রাখতে হবে। দক্ষিণ ভারত ও দিল্লি সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা কলাইকুণ্ডার সাথে জুড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।