আইআইটি খড়গপুরের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ফাইজান আহমেদের (২৩) র্যাগিং-এর কারণে আত্মহত্যার অভিযোগে আদালতের কড়া অবস্থানে আইআইটি খড়গপুরের ৫ পড়ুয়া সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করলো খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ।
গত বছরের ১৪ ই অক্টোবর আইআইটি খড়গপুরের হোস্টেল থেকে ফাইজান আহমেদের দেহ উদ্ধার করে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ। তাঁর পরিবারের তরফে পড়ুয়াকে খুনের অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ করা হয় র্যাগিং এর। খড়গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সত্য অবলোকনের অভিযোগও আনা হয়৷ মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাশে৷ পুলিশ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট উল্লেখ করে জানায়, পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছেন। আইআইটি’র ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্টে বলা হয়, মৃত্যুতে প্রতিষ্ঠানের কোনও দায় নেই। চাকরি না পেয়ে হতাশায় পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু আদালতের তরফে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ এ কে গুপ্তর কাছে মতামত চাওয়া হয়েছে।
এরপরেই অবস্থান বদল করে পুলিশ৷ খড়গপুর টাউন থানার তরফে প্রতিষ্ঠানের ৫ জন পড়ুয়া, ১ জন অধ্যাপক এবং ১ জন প্রাক্তন হোস্টেলে ওয়ার্ডেন – মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগিং’ এর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।