কুড়মি সমাজের ডাকে ১লা এপ্রিল থেকে জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে শুরু হওয়া ‘ঘাঘর ঘেরা’ আন্দোলনের মঙ্গলবার চতুর্থ দিন। এইদিন সকাল থেকেই খড়গপুর গ্রামীণের খেমাশুলিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি চলছে। স্বব্ধ হয়ে গিয়েছে সড়ক যোগাযোগ৷ অন্যদিকে বুধবার থেকে কুড়মি সমাজ অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধ কর্মসূচি পালনের ডাক দেওয়ায় জঙ্গলমহলের রেল যোগাযোগ স্তব্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কুড়মিদের এসটি তালিকাভুক্ত করা, কোড সহ সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালী ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তপশিলে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি কুড়মি সমাজের দীর্ঘদিনের। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্র সরকারের কাছে সংশোধিত সিআরআই তথা কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট রিপোর্ট পাঠানোর কথা, যা কুড়মিদের আদিবাসী তালিকা ভুক্তির স্বপক্ষে সওয়াল করবে। এই রিপোর্ট পাঠানোর দাবিতে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে খেমাশুলিতে রেল ও জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিল কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক কুড়মি সংগঠন। রাজ্য সরকার আশ্বাস দেয়, আগামী তিন মাসের মধ্যে সিআরআই রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হবে। এরপর অবরোধ আন্দোলন তুলে নেন আন্দোলনকারীরা৷ কিন্তু এখনও সেই রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হয়নি বলে অভিযোগ কুড়মি সংগঠনটির। এরপরেই নিজেদের দাবি নিয়ে ‘ঘাঘর ঘেরা’ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয় সংগঠনের তরফে।

অন্যদিকে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদেরী জানিয়েছেন, “সমস্যার উপর আধিকারিকরা নজর রেখেছেন। বিষয়টি জটিল। সমস্যাটি শুধুমাত্র আবেদনের নয়। অনেকগুলি আইনগত ও সংবিধানগত দিক আছে। রাজ্য বিষয়টি দেখছে।”