অবশেষে মিলতে পারে সমাধান সূত্রের খোঁজ। বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন রত কুড়মি সমাজের একাধিক সংগঠন সোমবার আলোচনায় বসতে পারে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে।
গত বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কুড়মি সমাজের নেতারা। কিন্তু সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। বরং আন্দোলন জোরদার করার বার্তা দেওয়া হয় সংগঠনগুলির তরফে। এরপর রাজ্য সরকারের তরফে কুড়মি নেতাদের মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসার আহ্বান জানানো হয়েছিল। জানা গিয়েছে, সোমবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে বৈঠক হতে পারে আন্দোলনরত কুড়মি সংগঠনগুলির। বৈঠকে কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গের তরফে রাজেশ মাহাতো, বীরেন মাহাতো, ৮১ গোষ্ঠীর তরফে সুদীপ রায় মাহাতো প্রমুখরা উপস্থিত থাকতে পারেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কুড়মিদের তফশিল উপজাতির তালিকাভুক্ত করা, কোড সহ সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালী ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তপশিলে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে কুড়মি সমাজের একাধিক সংগঠন। গত ১ লা এপ্রিল থেকে পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজ ও আরও কয়েকটি কুড়মি সংগঠনের ডাকে শুরু হয় ঘাঘর ঘেরা আন্দোলন। বুধবার থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি ও পুরুলিয়ার কুস্তাউরে নিরবিচ্ছিন্ন রেল অবরোধ ‘রেল টেকা’ শুরু হয়। এরপর রবিবার হঠাৎই কুড়মি নেতা অজিত মাহাতো রেল অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন। সমাজমাধ্যম সহ আন্দোলনস্থলগুলিতে অজিত মাহাতোর ঘোষণাকে অস্বীকৃতি জানিয়ে রেল অবরোধ অব্যাহত রাখার ঘোষণা করা হয় কুড়মি সমাজের অন্যান্য সংগঠনের তরফে৷ এইদিন বেলা ১১:৪৫ মিনিট নাগাদ কুস্তাউর স্টেশনে অবরোধ উঠে যায়। কিন্তু পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী দুপুর ১২:২০ মিনিট নাগাদ আদ্রা ডিভিশনের কোটশিলা স্টেশনে শুরু হয়েছে রেল অবরোধ। সেই সঙ্গে অবরোধ অব্যাহত রয়েছে খড়গপুর ডিভিশনের খেমাশুলি স্টেশনেও।