‘ঘাঘর ঘেরা’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে কুড়মি সমাজের সংগঠন। ১ লা এপ্রিল নিজেদের দাবি আদায়ে সেই আন্দোলনের সূচনা হল। এইদিন জঙ্গলমহলের চার জেলার একাধিক জায়গায় শুরু হয়েছে অবরোধ কর্মসূচি।
শনিবার পুরুলিয়া জেলায় পাঁচ শহীদের মূর্তিতে মাল্যদান করে ‘ঘাঘর ঘেরা’ আন্দোলনের সূচনা হয়। এরপর ৮১ গোষ্ঠীর সাইকেল আরোহীরা পুরুলিয়া থেকে করম ডাল নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া এই চার জেলা পরিক্রমা করে যাত্রীরা কলকাতায় সিআরআই দপ্তর ঘেরাও অভিযানে যোগ দেবেন।
অন্যদিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে একাধিক জায়গায় চলছে অবরোধ আন্দোলন। পুরুলিয়ার লালপুর মোড়, ঝাড়গ্রাম রাজ্যসড়ক জাম্বনী মোড়, পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর খেমাশুলিতে চলছে অবরোধ। চার জেলার বিভিন্ন জায়গায় সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ চলবে। তবে আন্দোলনকারীদের তরফে জরুরী পরিষেবা, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জলের গাড়ী, দুধের গাড়ী, অক্সিজেনের গাড়ী, মেডিক্যাল গাড়ী, স্কুলবাস , ছাত্র-ছাত্রী ও পরীক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ রূপে বনধ বা অবরোধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কুড়মিদের এসটি তালিকাভুক্ত করা, কোড সহ সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালী ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তপশিলে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি নিয়ে কুড়মি সমাজের তরফে ১ লা এপ্রিল থেকে জঙ্গলমহল জুড়ে ‘ঘাঘর ঘেরা’ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে৷