লাগাতার কুড়মি আন্দোলনের ষষ্ঠ দিন বৃহস্পতিবার। রেল ডেকা, ঘাঘর ঘেরায় বিপর্যস্ত জঙ্গলমহলের জনজীবন৷ রেল অবরোধের ফলে বুধবার থেকে বাতিল বহু ট্রেন। বৃহস্পতিবার ফের বাতিল হয়েছে ৭৮টি ট্রেন। সেই সঙ্গে অবরুদ্ধ ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। কিন্তু জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে কুড়মি সমাজের বৈঠকের পরেও কোনো সমাধান সূত্র না মেলায় আরও জোরদার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে কুড়মি সমাজ৷ ফলে জঙ্গলমহলের জন সাধারণের দুর্ভোগ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা এখনই নেই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কুড়মিদের এসটি তালিকাভুক্ত করা, কোড সহ সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালী ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তপশিলে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে কুড়মি সমাজ। ১ লা এপ্রিল থেকে সমাজের ডাকে শুরু হয়েছে ঘাঘর ঘেরা আন্দোলন। এরপর বুধবার থেকে শুরু হয়েছে রেল অবরোধ কর্মসূচি। বুধবার বিকেলে জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরী ও পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কুড়মি সমাজের নেতারা। কিন্তু সমাধান সূত্র মেলেনি। কুড়মি সমাজের দাবি, রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্র সরকারের কাছে সংশোধিত সিআরআই তথা কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট রিপোর্ট অবিলম্বে পাঠাতে হবে।
অন্যদিকে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পরে আন্দোলন আরও জোরদার করার ডাক দিয়েছেন কুড়মি সমাজের নেতারা৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর লোকাল থানার খেমাশুলি এবং পুরুলিয়ার কুস্তাউর রেলস্টেশনে বুধবার থেকে চলছে রেল অবরোধ। বৃহস্পতিবার ৭৮টি ট্রেন বাতিল করেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। অনেক ট্রেনকে অন্যপথে চালানো হচ্ছে, সঙ্গে কিছু ট্রেন সম্পূর্ণ পথ চলবেনা। এছাড়াও খেমাশুলিতে অবরুদ্ধ ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক৷ যোগাযোগ ব্যবস্থা স্তব্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত জঙ্গলমহলের জনজীবন৷ কুড়মি সমাজের তরফে সাধারণ মানুষের হয়রানির জন্য সরকারের মনোভাবকে দায়ী করা হয়েছে।