শুক্রবার রাতে ঝাড়গ্রামের শালবনীতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের একাধিক গাড়ি ও মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে জাতিসত্ত্বার দাবিতে আন্দোলনরত কুড়মিদের দিকে। শনিবার ঝাড়গ্রামে সাংবাদিক বৈঠক করে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হল আন্দোলকারী কুড়মিদের সংগঠন ‘ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির’ তরফে। সেই হামলার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিচারবিভাগীয় বা সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটি।
শুক্রবার ঝাড়গ্রাম শহরে নবজোয়ার কর্মসূচির রোড শো শেষ করে লোধাশুলি আসার পথে ঝাড়গ্রাম ব্লকের অন্তর্গত শালবনী এলাকায় পাঁচ নম্বর রাজ্য সড়কের উপর কুড়মিদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়। “চোর! চোর” স্লোগান সহ বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কুড়মি সংগঠনের আন্দোলনকারীরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের শেষের দিকে মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার গাড়ি ছিল। অভিযোগ, মন্ত্রীর গাড়ি ও কনভয়ের অন্যান্য গাড়ি লক্ষ্য করে উড়ে আসে ইঁট পাটকেল। তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের গাড়িতে লাঠি হামলা চালানো হয় বলেও অভিযোগ। মন্ত্রীর গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। কাঁচ ভেঙে চোখে ঢুকে আহত হয়েছেন মন্ত্রীর গাড়িতে থাকা এক ব্যক্তি। ঘটনায় হামলার অভিযোগ উঠেছে কুড়মি আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। এবার কুড়মিদের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করা হল।
সাংবাদিক সম্মেলনে কুড়মিদের ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটি মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার গাড়িতে হামলার ঘটনার নিন্দা করেছে। সেই সঙ্গে জানিয়েছে, ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো লোক এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। দাবি করা হয়েছে, পূর্ণাঙ্গ বিচারবিভাগীয় বা সিবিআই তদন্তের। তদন্তে প্রকৃত তদন্ত হোক, ভিডিও প্রকাশ হোক এবং দোষীদের খুঁজে বের করে আইনানুগ শাস্তি হোক। ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির বক্তব্য, “কোনো ধরনের হিংসা সমর্থন যোগ্য নয়, কোনো হিংসাকে আমরা সমর্থন করছি না। নিরপেক্ষ তদন্ত হোক, দোষীরা শাস্তি পাক। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে যে বা যারা বিপথগামী ও কালিমালিপ্ত করা চেষ্টা চালাচ্ছে তাদের তীব্র ধিক্কার জানাই। আমাদের কর্মসূচি আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবেই চালিয়ে এসেছি। কুড়মি জাতি শান্তিপ্রিয় জাতি।”