আগামী বৃহস্পতিবার ১৬ ই ফেব্রুয়ারি মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্ধারিত প্রশাসনিক সভার একদিন আগেই বুধবার বিকালে মেদিনীপুর পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মেদিনীপুর কলেজ ও কলেজিয়েট মাঠে চলছে চূড়ান্ত সময়ের প্রস্তুতি। দুই দিনের জেলা সফরে নির্ধারিত দিনের আগেই বুধবার বিকেলে মেদিনীপুর পৌঁছালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার বিধানসভায় ছিল রাজ্য বাজেট পেশ। বাজেট পেশ করেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আগাগোড়া বাজেট অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি প্রাথমিক বাজেটে ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা ছিল না। মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে অরূপ বিশ্বাসের মাধ্যমে চিরকুট পেয়ে সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের ৩% ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন চন্দ্রিমা। বাজেট বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী বাজেটকে ‘গরিব মানুষের বাজেট’ আখ্যা দেন। বিবিসি কান্ড নিয়ে “হিটলার, চেসেস্কুর চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর একনায়ক” বলেও কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর।
- Advertisement -
বিধানসভা থেকে বের হয়েই চপারে মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেল ৩ টে ৪৫ মিনিট নাগাদ পৌঁছান মেদিনীপুর কলেজ মাঠের হেলিপ্যাডে। বুধবার রাতে সার্কিট হাউসে রাত্রিবাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী। কলেজ মাঠে নেমে সেখান থেকে সামনেই মেদিনীপুর সার্কিট হাউসের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তিনি। সার্কিট হাউসে প্রবেশ করার আগে সার্কিট হাউস মোড়ে থাকা জটলার সামনে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী৷ কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। সেখানে থাকা একটি ছোটো শিশুকে কোলে তুলে নিয়ে আদরও করেন৷ সার্কিট হাউসে প্রবেশ করার পরে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে ও জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতির সঙ্গে দীর্ঘক্ষন কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
- Advertisement -
বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে অনুষ্ঠান শেষে পুরুলিয়া ও পরে বাঁকুড়া যাওয়ার কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। মেদিনীপুর কলেজ মাঠে চলছে চূড়ান্ত সময়ের প্রস্তুতি। আগামীকাল অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে ৪৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। ৫১টি প্রকল্পের শিলান্যাস হবে এবং সভামঞ্চ থেকে ৬৫ জন উপভোক্তার হাতে বিভিন্ন রকম সরকারি পরিষেবা ও সামগ্রী তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলা ব্লক অফিস থেকে মোট ১ লক্ষ ৮ হাজার ৫৪১ জন উপভোক্তা পরিষেবা পাওয়ার কথা রয়েছে। এই মুহূর্তে মেদিনীপুর শহরের মির্জা বাজারে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক উরুষ উৎসব। মুখ্যমন্ত্রীর সেই উৎসবে যোগদান করার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিকাঠামো পরিদর্শন করতে পারেন তিনি।