চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
কেশপুরে দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠকের পর হুঁশিয়ারি দিলেন মানস ভূঁইয়া ও তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি। ‘কেশপুরে হাঁচি কাশি’ কমাতে হবে বলে হুঁশিয়ারির পাশাপাশি ‘বাইরে মিডিয়ারার সামনে মুখ খুললে মিউজিক শোনানো হবে’ বলে সতর্ক বার্তা দেওয়া হল।
বিগত কিছুদিন ধরেই উত্তপ্ত ছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর৷ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বর অভিযোগ উঠেছিল। তৃণমূলের তরফেই অভিযোগ তোলা হয়েছিল স্থানীয় বিধায়ক শিউলি সাহা ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এরপরেই বৃহস্পতিবার দুপুরে শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে স্থানীয় ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে বৈঠকে বসেন মানস ভূঁইয়া ও দলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি। ছিলেন বিধায়িকা শিউলি সাহাও। বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে দলের কর্মীদের স্পষ্টতই হুঁশিয়ারি দেন মানস ভূঁইয়া ও দলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি।
সাংবাদিক বৈঠকে মানসবাবু সিপিএম-কে তীব্র আক্রমণ করে অভিযোগ আনেন, বাম আমলে মেদিনীপুরে হত্যা-রক্তপাত হয়েছে৷ তিনি দলীয় কর্মীদের বার্তা দেন, ” বড় সংসারে খুনসুটি হতে পারে, কিন্তু আঁচড়া আঁচড়ি চলবে না!” সমস্ত দলীয় নেতৃত্বকে একসঙ্গে মিলে মিশে থাকার বার্তা দেন তিনি। দলের নির্দেশের বিরুদ্ধে গেলে যত বড় নেতাই হোক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি৷ জেলা তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, “কেশপুরে দলীয় কর্মীদের হাচি কাশি বন্ধ করতে হবে।” দলীয় কর্মীদের নিয়ন্ত্রণের বার্তা দিয়ে বলেন, “বাইরে মিডিয়ারার সামনে মুখ খুললে মিউজিক শোনানো হবে।”