চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
মেদিনীপুরে রবিবার মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। সেখানেই উপস্থিত দলের নেতাদের সাগরদিঘির হারের উপমা টেনে হুঁশিয়ারি দিলেন মানস ভূঁইয়া।
সাগরদিঘির উপনির্বাচনে হার হয়েছে তৃণমূলের। তারপর থেকেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে শাসক দলের দলীয় স্তরে। মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হলে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল রবিবার। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কয়েক হাজার সংখ্যালঘু নেতা সম্মেলনে যোগদান করেন। ছিলেন মানস ভূঁইয়া। তিনি বলেন, “বিজেপি সিপিআইএম বলতে শুরু করেছে দেখো সাগরদীঘিতে সংখ্যালঘুরা শাসক দল থেকে সরে গেছে। না রে ভাই, সংখ্যালঘুরা দিদির সঙ্গেই আছে। ভারতীয় জনতা পার্টি দেশটাকে ভাঙতে চায়। যেখানে যেখানে বিজেপি দেশে রয়েছে সেখানেই সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। মমতাজ আর মমতাকে পার্থক্য করতে দেবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্ব ধর্মের ঐক্যতা রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক ব্যানার্জি। সিপিআইএম কংগ্রেস বিজেপি এক হয়েছে। পাড়ায় অঞ্চলে ব্লকে নজর রাখুন। আমি বিরাট নেতা, বাড়িতে বসে আছি, ব্লকে যাচ্ছি না, মহল্লাতে যাচ্ছি না। মনে রাখবেন প্রতিটি পাড়ায় মহল্লায় কমিটি করতে হবে। মহিলা যুবক যুবতী সকলকে যুক্ত করতে হবে। শুধু নিজেদের ছবি দিয়ে প্রচার চলবে না। নিজেদের ছবি কম দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সংখ্যালঘুদের ছবি দিন। যদি কোন নেতা কোন মিটিং না করে, ব্লকে অঞ্চলে না যায়, আমাদের জানান। আমরা সাংগঠনিক স্তরে ব্যবস্থা নেব। প্রতিটি ব্লকে সংখ্যালঘুদের নিয়ে সমাবেশ করতে হবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “সিএএ এবং এনআরসির নাম করে ১৯ লক্ষ সংখ্যালঘুকে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে বন্ধ করে রেখেছে বিজেপি। বিজেপি এলে এই রাজ্যেও অনুরূপ ক্যাম্প করবে। সংখ্যালঘুরা এটা কখনোই চাইবে না।” সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া, রাজ্যসভার সাংসদ সেখ নাদিমূল হক, দলের সাধারণ সম্পাদক জুনেদ খান, তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি নজরুল ইসলাম।