তীব্র দাবদাহে পুড়ছে মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ জঙ্গলমহল। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা অতিক্রম করে গিয়ে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গন্ডিও। সারা রাজ্যের মতোই মেদিনীপুরের সাধারণের মধ্যে ত্রাহিত্রাহি রব। সকাল থেকে রোদ উঠলেই বেড়ে যাচ্ছে উষ্ণতা। সূর্য ডোবার পরেও স্বস্তি নেই। সারা রাত বজায় থাকছে ভ্যাপসা গরম। সঙ্গে গ্রামাঞ্চলের দিকে পাল্লা দিয়ে ঘন্টা খানেক, ঘন্টা দেড়েকের লোডশেডিং। বুলেটিন প্রকাশ করে ইতিমধ্যেই আলিপুর আবহাওয়া দফতর জারি করেছে সোমবার থেকে ফের তাপপ্রবাহের সতর্কতা।

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে। তাপমাত্রারও কমার সম্ভাবনা আপাতত নেই। নেই বৃষ্টিরও সভাবনা। রবিবারও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বজায় ছিল তীব্র দাবদাহ। দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে রবিবার সবচেয়ে উষ্ণতম এলাকা ছিল পানাগড়। উষ্ণতা ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বীরভূমের শ্রীনিকেতনে ৪২.৩ ডিগ্রি।

একই চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে জঙ্গলমহলের জেলা গুলিতেও। বাঁকুড়ায় রবিবার তাপমাত্রা ছিল ৪২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পুরুলিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৭ ডিগ্রি। ঝাড়গ্রামে ছিল ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুণ্ডায় তাপমাত্রা হয়েছিল ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মেদিনীপুরে হয়েছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মেদিনীপুর শহরে দাবদাহের মধ্যেই বিভিন্ন প্রয়োজনে পথে বের হয়েছেন সাধারণ মানুষজন। সঙ্গে ছাতা, জলের বোতল, মাথায় টুপি। ভিড় জমেছে ঠান্ডা পানীয়, আখের রস, গোলা বরফের দোকানের সামনে। এক বয়স্ক মেদিনীপুরবাসী পথচারীর বক্তব্য, চৈত্রের শেষে ও বৈশাখের শুরুতেই এত গরম তিনি আগে দেখেননি। নিতান্ত প্রয়োজনে পথে বের হয়েও সহনাগরিকদের প্রতি তাঁর সতর্কবার্তা, “দুপুরের সময়টা বাইরে বের না হওয়াই ভালো!”