পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের পিড়াকাটা সংলগ্ন কলসীভাঙ্গার পাড়ুআয়মা। প্রতি বছর ৩ রা মাঘ ভক্তদের পুজো পান বামুনবুড়ি সন্ন্যাসী মাতা। পুজো উপলক্ষে মন্দির সংলগ্ন মাঠে বসে বিশাল মেলা। এই বছরেও তার ব্যতিক্রম নয়৷
পাড়ুআয়মা, পাথরি, বুড়িপালা, কলসীভাঙ্গা সহ বিস্তৃত এলাকায় জাগ্রতা বলে পরিচিতা দেবী সন্ন্যাসীমাতা বামুনবুড়ি। প্রায় ৮০ বছর আগে দেবীর পুজোর প্রচলন করে কলসীভাঙ্গা গ্রামের লক্ষীকান্ত মাহাতো। এখনও তাঁর বংশধরেরা সেই পুজোর ঐতিহ্য বজায় রেখেছেন৷ কথিত আছে, বহু বছর আগে লক্ষীকান্ত মাহাতোর এক আত্মীয় গোরু চরাতে গিয়ে জঙ্গলে বলদ হারিয়ে ফেলেন। বহু খোঁজেও সন্ধান না পেয়ে বনদেবীর নাম স্মরণ করেন লক্ষীকান্ত। তখনই এক বৃদ্ধা বলদের সন্ধান দেন এবং সন্ন্যাসী মাতা বামুনবুড়ি হিসেবে নিজের পরিচয় দেন। তারপর থেকে মাতার স্মরণে পুজোর প্রচলন হয়৷
- Advertisement -
বছরের পর বছর ধরে চলা এই পুজোয় মনস্কামনা পূরণে বলির পরিবর্তে মালসা ভোগের মানত করেন ভক্তরা। চিঁড়ে কলা আর বাতাসা দিয়ে সাজানো লক্ষ লক্ষ মালসা ভোগ মন্দিরের সামনে সাজিয়ে রাখা হয়। বসে মেলা। মেলা উপলক্ষে কবিগান, বাউল গান, পালাকীর্তন, যাত্রাপালা সহ সারা রাত্রিব্যাপী নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়৷ লাখে লাখে ভপক্ত নিজেদের মনস্কামনা পূরণের আশায় সমাগত হন সন্ন্যাসী মাতার থানে৷