জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ এলাকার বহু মানুষ সরাসরি যুক্ত শালপাতা শিল্পের সঙ্গে। শালপাতা সংগ্রহ থেকে বিভিন্ন কুটির শিল্পগুলির মাধ্যমে প্রধানত মহিলারাই জীবিকানির্বাহ করেন। শালপাতা শিল্পের সাথে যুক্ত এই শ্রমজীবী মহিলাদের নিয়ে সংগঠন গড়ে তোলার জন্য তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র তরফে জেলার প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হল জাম্বনী ব্লকের ধড়সা অঞ্চলের ঝাড়খন্ড লাগোয়া আস্তাপাড়া গ্রামে।
জেলার জঙ্গল নিকটস্থ গ্রামগুলিতে কৃষিকাজ অল্প হলেও বর্ষা ছাড়া বছরের বেশির ভাগ সময় মহিলারা শালপাতা সংগ্রহ ও তা থেকে শালপাতার সামগ্রী তৈরি করে জীবিকানির্বাহ করেন। পাতা সংগ্রহ, সেলাই করে শুকনো করে ১ হাজার পাতার থালা বিক্রয় উপযোগী করতে সময় লাগে প্রায় তিন দিন। অথচ মজুরি জোটে ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। অভিযোগ, মধ্যবর্তী মহাজন ও ফড়েদের দাপটে লভ্যাংশ মজুরদের বদলে অন্যদেরই পকেটস্থ হয়। সেই কারণেই একত্রিত হয়ে এইদিনের সভায় একাধিক দাবি উত্থাপন করেছেন শালপাতা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মহিলারা।
তাঁদের দাবি, সরকারি ভাবে শালপাতার সহায়ক মূল্য স্থির করতে হবে, সর্বত্র মূল্য একই রাখতে হবে যাতে শিল্পের সঙ্গে সরাসরি যুক্তরা লভ্যাংশ পান এবং সরকারি ভাবে শ্রম তালিকায় শালপাতা সংগ্রহকারীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এইদিন আস্তাপাড়া গ্রামের সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি মহাশীষ মাহাতো, সহ-সভাপতি সৌমেন আচার্য, জাম্বনী ব্লক আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি শান্তনু ডাব, জাম্বনী ব্লক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী কুনামি হাঁসদা ও স্থানীয় শ্রমিক নেতা নেত্রীরা।