Titanic House: বাড়ি যেন ঠিক টাইটানিক জাহাজ

Titanic House: বাড়ি যেন ঠিক টাইটানিক জাহাজ

শখের বসেই জাহাজের মতন বাড়ি তৈরি করলেন মিন্টু।অবিকল টাইটানিক জাহাজের মতন তার সাধের বাড়ি।উত্তর ২৪ পরগনার হেলেঞ্চা জেলার বাসিন্দা মিন্টু রায়।২০-২৫ বছর আগে শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া নিজবাড়ি এলাকায় এসে বসতি স্থাপন করেন।বর্তমানে চাষাবাদ করেই দিন কাটাচ্ছেন তিনি।বাবা মনরঞ্জন রায়ের হাত ধরেই শিলিগুড়িতে আসা।তারপর কেটে গিয়েছে অনেক দিন।কিন্তু তার ইচ্ছেটাকে কিন্তু কোনোদিনও মরে যেতে দেয়নি মিন্টু।তার সখের জাহাজের মত বাড়ি বানানোর কাজ ধীরে ধীরে শুরু করেন তিনি।

প্রসঙ্গত,কলকাতায় থাকাকালীন জাহাজ দেখতে দেখেতে জাহাজের মত বাড়িতে থাকার ইচ্ছে হয়।সেই থেকেই এই জাহাজ বাড়ি বানানোর পরিকল্পনা নেন।তবে প্রথমে তার ভাবনায় সায় দেয়নি কোনো ইঞ্জিনিয়ার।জাহাজের মত বাড়ি আবার হতে পারে নাকি।তারপর নিজের হাতেই ছবি একে বাড়ি তৈরিতে হাত দেন।তবে টাকার অভাবে কাজ মাঝে মাঝেই আটকে যায়।মিস্ত্রি দের টাকা যোগান দেবার ক্ষমতাও ছিল না তার।তারপর নিজেই তিন বছর নেপালে গিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ শিখে বাড়ির তৈরির কাজে হাত দেন। ধীরে ধীরে তৈরি হচ্ছে তার স্বপ্নের জাহাজ বাড়ি।

মিন্টু বাবুর কথায়,২০১০ সালে কাজ শুরু হয় এই জাহাজ বাড়ি বানানোর।জাহাজ বাড়িটি ৩৯ ফুট লম্বা ও ১৩ ফুট চওড়া ।প্রায় ৩০ ফুট উচ্চতার এই জাহাজ বাড়ি ফাঁসিদেওয়ার নিজবাড়ি এলাকার মূল আকর্ষণ হয়ে দাড়িয়েছে।অবিকল জাহাজের মতোই বাড়ি বানিয়েছেন তিনি।

৯.৫ ডেসিমাল জমিতে জাহাজ বাড়ি বানিয়ে সকলকে অবাক করেছে মিন্টু বাবু।চাষ আবাদ করে সেই ফসল বাজারে বিক্রি করে সেই টাকা জমিয়ে আজও বাড়ি বানানোর কাজ করে চলেছেন তিনি।মন্টু বাবু জানিয়েছেন,নিজের মায়ের নামেই তিনি এই বাড়ির নাম দেবেন বলে ঠিক করেছেন।এখনও পর্যন্ত আনুমানিক ১৫লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে।তিনি আরও বলেন”আমি আগামী বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টায় আছি।আমার ইচ্ছে আছে ওপর তলায় পরবর্তীতে রেসুরেন্ট বানাবো,সেখান থেকে একটা আয়ের চিন্তাভাবনা রয়েছে।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ