দিন কয়েক আগে তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কো-অর্ডিনেটর তথা বিধায়ক অজিত মাইতির কুড়মি নেতাদের নিয়ে ‘খালিস্থানি’ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল কুড়মি সমাজ। করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের নতুন বিতর্ক। এবার কুড়মি সমাজেরই প্রতিনিধি তৃণমূলের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর মন্তব্য, ” কুড়মিরা ভুল বলছেন!”
কুড়মিদের এসটি তালিকাভুক্ত করা, কোড সহ সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালী ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তপশিলে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে কুড়মি সমাজ। হয়েছে রেল অবরোধ, সিআরআই দপ্তর ঘেরাও, ঘাঘর ঘেরা, সাইকেল র্যালি। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী কুড়মিদের অভিযোগ, রাজ্যের তরফে সিআরআই জাস্টিফিকেশান রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হচ্ছে না। সেই প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে শ্রীকান্ত মাহাতোর মন্তব্য, “কুড়মিরা ভুল বলছেন।” তিনি আরও বলেন, “অনেক কিছু ক্ষেত্রেই কুড়মিদের ভুল মন্তব্য আছে।” রাজ্যের সিআরআই জাস্টিফিকেশান রিপোর্ট নিয়ে ব্যাখ্যার কথাও বলেন তিনি। কিন্তু তাঁর এই মন্তব্যের বিরোধীতায় ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বাস ঘাতকতার অভিযোগ এনে সরব হয়েছেন কুড়মি নেতারা। তৃণমূল কংগ্রেসকে আগামী নির্বাচনে বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শনিবার অজিত মাইতি এক সভায় বলেন, “আমরা কুড়মিদের বিপক্ষে নই। কিন্তু স্বঘোষিত কিছু কুড়মি নেতা স্বঘোষিত খালিস্থানি নেতাদের মত কুড়মিদের ভুল বোঝাচ্ছেন।” সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোও। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে শুরু হয় বিতর্ক ও প্রতিবাদ। অবশেষে সোমবার অজিত মাইতির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ক্ষমা প্রার্থনা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, “যদি তার বক্তব্যে ঘুরিয়ে বলার জন্য বা তার মুখফস্কে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য মাহাতোরা দুঃখ পেয়ে থাকে, আমি নিজে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। এটা নিয়ে রাজনীতি করার জায়গা নেই।”