BSF: রাত বাড়তেই সক্রিয় পাচার চক্র, বিএসএফের গুলিতে নিহত ২ পাচারকারী

BSF: রাত বাড়তেই সক্রিয় পাচার চক্র, বিএসএফের গুলিতে নিহত ২ পাচারকারী

বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হল ২ পাচারকারীর। ঘটনাটি ঘটেছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন গীতালদহের কাশেমঘাটে। বুধবার রাতে কয়েকজন ব্যক্তি গরু পাচার করে নিয়ে যাচ্ছিল। এমন সময় বিএসএফের পাচারকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পরবর্তীতে বিএসএফের গুলিতে মারা যায় লুৎফর রহমান (৩৩) ও জাহিদুল মিয়া নামক দুই জন পাচারকারী। আহতদের উদ্ধার করে এমজেএন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

পুলিশ সূত্রের খবর, কাশেমঘাট সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ২০ জন পাচারকারী গভীর রাতে গরু পাচার করছিল। ঘটনাটি বিএসএফের নজরে আসতে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

প্রথমে বিএসএফ গরু পাচারকারীদের আটকানোর চেষ্টা করে। পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে গরু পাচারকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। এমন সময় জাওয়ানদের কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এক পাচারকারী। বাধ্য হয়ে ৬ রাউন্ড গুলি চালায় বিএসএফ জওয়ানরা।

সেই গুলিতে গুরুতর ভাবে আহত হয় দুই পাচারকারী। তৎক্ষণাৎ তাদের মধ্যে লুৎফরকে উদ্ধার করে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ও পরে কোচবিহার এমজেএন মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গতকাল রাতে জাহিদুল মিয়া নামক পাচারকারী নিখোঁজ ছিল। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার দুপুরে শিঙ্গিমারী নদী থেকে দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় কয়েকজন বিএসএফ গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন।

বিএসএফের গুলিতে নিহত ২ পাচারকারী

আঞ্চলিক সভাপতি দিননাথ বর্মন বলেন, ‘মৃত জাহিদুলের শশুর কোবির উদ্দিন সকালে আমাকে ফোন করে বলেন, আমার জামাই নিখোঁজ। তখন আমি সন্দেহ করি জাহিদুল গুলিবিদ্ধ হয়েছে। কারণ চারিদিকে রাজনৈতিক সমস্যা চলছে।

তখন আমাদের প্রত্যেকের বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয়। পাশাপাশি বিএসএফ নদীর ধারে ঘাট লাগাতে দেয়নি। জেলেদের মাছ ধরতে যেতে দিচ্ছেনা। আমরা নদীর ধারে কিছুটা রক্ত পড়ে থাকতে দেখি। তখন আমাদের সকলের সন্দেহ হয়। তারপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে তল্লাশি চালিয়ে নদী থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করে। তখন বোঝা যায় যে বিএসএস তাদের গুলি করেছে’।

জাইদুলের শশুর কোবিরুউদ্দিন মিঞা বলেন, ‘আমরা গ্রামের অসহায় মানুষ, চাষবাস করে জীবন চালাই। আমার জামাইয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে নদী থেকে। নদীর পাড়ে কিছুটা রক্ত পড়ে আছে। যার দ্বারা ঘটনাটি স্পষ্ট বোঝা যায়। যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে সেখান থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে কাটা সীমান্ত এলাকা। অনেক সময় বিএসএফ রাতের বেলা এলাকাবাসীদের তুলে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়।

কি কাজ করে, কোন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ইত্যাদি খোঁজ খবর নেয়। অনেক সময় বহু মানুষ নিখোঁজ হয়ে যায়। তাদের লাশ অব্দি পাওয়া যায় না। আমাদের এখানে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে। জামাই যেখানে মারা গেছে সেই জায়গায় অব্দি আমাকে যেতে দেওয়া হয়নি’।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ