শালবনীতে প্রায় ৫০ জন ‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন’ শিশুদের নিয়ে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছিল সদর উত্তর চক্রের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আয়োজকদের তরফে অভিজিৎ ঘোষ, অমিত মারিক জানান, এই ধরনের কর্মসূচি শিক্ষক শিক্ষিকাদের তরফে জেলা শুধু নয় রাজ্যেও নতুন। উপস্থিত বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ও তাদের অভিভাবকদের লড়াইকে কুর্নিশ জানান তন্ময় সিংহ, ও দৈনন্দিন জীবন সংগ্রামে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তাদের সামনে এনে।
গোবরুতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কৃষি কর্মাধ্যক্ষ চন্দন সাহা, জেলার শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মামনি মান্ডি, শালবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিনু কোয়ারি, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ উষা কুন্ডু, স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ নিবেদিতা ব্যানার্জি, সদস্যা সবিতা দুয়ারী, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিশিষ্ট শিক্ষক নেতৃত্ব অর্ঘ্য চক্রবর্তী, সৌমিত্র চোঙদার, অভয় মিশ্র সহ রক্তদান আন্দোলনের অন্যতম মুখ জয়ন্ত মুখার্জী, বিশিষ্ট চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের বিশেষ শিক্ষক রাজকুমার বেরা, শিক্ষা বন্ধু অতীন ঘোষ, সমাজকর্মী সুশান্ত পারিয়াল সহ অনেকেই। এই মহতী অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পী পাশাপাশি বিদ্যালয়গুলির ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও মেদিনীপুর থেকে আগত স্বনামধন্য শিল্পীরা আবৃত্তি ও নৃত্য করেন। চক্রের শিক্ষিকা সুধৃতি দাস খাঁড়া ও পৌলোমী সিনহার উদ্বোধনী সংগীত ও শিক্ষিকা পূজা চ্যাটার্জী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি নৃত্য করেন ও বিশিষ্ট কবি কৃষ্ণেন্দু ঘোষ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন।
এই অনুষ্ঠান সফল করার জন্য যেভাবে শিক্ষক শিক্ষিকারা এগিয়ে এসেছেন উপস্থিত হয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি বর্ষীয়ান শিক্ষক চন্দন মাসান্ত ও সুব্রত দাস ধন্যবাদ জানান অমর চৌধুরী, অপরেশ সিনহা, সঞ্জয় নামহাতা, রামসরোজ মুখার্জি, অরুণ মাহাতো, বিশ্বজিৎ পাল, বাপ্পা বিষয়ী, বিপ্লব সরেন, লক্ষ্মী সামন্ত ও গোবরু দুর্গা মন্দির কমিটিকে এবং উপস্থিত সকল অতিথিদের।