‘ভ্যাকসিন হাব’ হতে চলেছে ভারত! ভারতে তৈরি প্রতিষেধক চাইছে একাধিক দেশ
GNE NEWS DESK: কোভিড টিকা যোগানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে ভারত। নেপাল, বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশগুলি ছাড়াও দক্ষিণ আমেরিকা বেশ কিছু দেশ এবং অস্ট্রেলিয়া থেকেও ভারতের কাছে প্রতিষেধক পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে। ফলে কোভিডের বিরুদ্ধে বিশ্ব টিকাকরণে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এর আগে করোনার প্রথম লগ্নে আমেরিকা ও ইউরোপের বহুল সংক্রমিত দেশগুলিতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের জোগান দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। ভারতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ‘কোভিশিল্ড’-এর উৎপাদন এবং বিতরণের দায়িত্বে রয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট। অন্যদিকে ভারত বায়োটেকের তৈরি ‘কোভ্যাক্সিন’ প্রতিষেধককেও জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই পরিস্থিতিতে ভারত সরকারের সাথে চুক্তির মাধ্যমে এবং সরাসরি উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি থেকে বরাতের মাধ্যমে টিকা কিনতে আগ্রহী বহু দেশ।
করোনার প্রতিষেধক সরবরাহে ভারত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে চলেছে বলে আগেই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রবাসী ভারতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল বক্তব্যে সম্প্রতি তিনি বলেন, “এতদিন পিপিই কিট, মাস্ক, ভেন্টিলেটর এবং টেস্টিং কিট সরবরাহ করত ভারত। বর্তমানে আমরা আত্মনির্ভর। দু’টি দেশীয় প্রতিষেধক তৈরি করে এই মুহূর্তে মানবজাতিকে করোনার অভিশাপ থেকে রক্ষা করতে প্রস্তুত আমরা।”
নেপাল ভুটান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান বাংলাদেশ, মায়ানমারের মতো প্রতিবেশী দেশগুলি ছাড়াও সৌদি আরব, মরক্কো, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশও ভারতে তৈরি প্রতিষেধক কিনতে আগ্রহী। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপিন্স, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, তাইল্যান্ড এবং সিঙ্গাপুরও ভারতে তৈরি প্রতিষেধক কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রতিষেধক সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশগুলিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব।