একইদিনে দুই পুরুষের শয্যাসঙ্গিনী হয়েছিলেন ব্রাজিলের এক তরুণী। তারপরই তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। সম্প্রতি ১৯ বছরের ঐ তরুণী জন্ম দেন যমজ সন্তান। কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা যায়, দুই সন্তানের বাবা আলাদা!
ব্রাজিলের এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ তরুণী একই দিনে দুই পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান।তাই তিনি বুঝতে পারছিলেন না তার সন্তানদের বাবা কে। আর সন্তানদের পিতৃপরিচয় খুঁজে পেতেই ডিএনএ পরীক্ষা করান তিনি। সেই পরীক্ষায় এক সঙ্গীর জিনগত উপাদানের সঙ্গে দুই সদ্যোজাতের জিনগত উপাদান মিলিয়ে দেখা হয়। পরীক্ষার ফল বলছে, এক শিশুর সঙ্গে মিললেও অন্য শিশুর সঙ্গে মেলেনি ঐ যুবকের জিনগত উপাদান। অর্থাৎ যমজ হলেও দুই শিশুর বাবা আলাদা।
- Advertisement -
পুরো বিষয়টি বিরল হলেও একেবারে অসম্ভব নয়। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয়, ‘হেটারোপ্যারেন্টাল সুপারফেকান্ডেশন’। এক্ষেত্রে মায়ের দেহের দু’টি ডিম্বাণু দুই আলাদা পুরুষের শুক্রাণুর দ্বারা নিষিক্ত হয়। দু’টি ভ্রূণ আলাদা দুই প্লাসেন্টা বা অমরার ভেতরে বড় হতে থাকে।
- Advertisement -
১৯৯৭ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র বলছে, প্রতি ১৩ হাজার যমজ সন্তান প্রসবের ঘটনায় একটি এ ধরনের ঘটনা দেখা যায়। বহু ক্ষেত্রেই কেউ ভাবতেই পারেন না যে, যমজ সন্তানের বাবা আলাদা হওয়া সম্ভব। তাই অনেকেই পরীক্ষা করেন না যমজ সন্তানদের পিতৃপরিচয়। ফলে সচরাচর ধরাও পড়ে না এমন ঘটনা।