দক্ষিণবঙ্গে জারি হয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা। মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে তাপমাত্রা অতিক্রম করে গেছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি। সকাল থেকেই অগ্নিবর্ষণ করছে সূর্য। চাঁদিফাটা গরমে সর্বত্র ত্রাহিত্রাহি রব। আবহাওয়া দফতর বলছে ১৮ এপ্রিলের আগে আবহাওয়ার উন্নতির সম্ভাবনা নেই। যদিও তারপরেও আদৌ দাবদাহের সমাপ্তি বিষয়ে কিছুই জানায়নি হাওয়া অফিস। এই পরিস্থিতিতে দিনকতকের স্বস্তি দিতে পারে উত্তরবঙ্গের পাহাড়।

সামনে নববর্ষ, সঙ্গে চড়ক ও সপ্তাহান্তের ছুটি। দক্ষিণবঙ্গের তীব্র দাবদাহ থেকে এই দিন কতকের ছুটিতে রেহাহ পেতে ঘুরে আসতেই পারেন দার্জিলিং এর পাহাড়ি জনপদ লেপচাজগৎ। যাঁরা পর্যটকদের ভীড় থেকে দূরে থেকে পাহাড়ি পাইনের জঙ্গল ও শান্ত নিরবতা উপভোগ করতে চান তাঁদের জন্য লেপচা জগৎ আদর্শ। চোখ ফেরালেই চারিদিকে মাথা ছাফিয়ে আকাশে উঠে গেছে শত বছরের প্রাচীন পাইনগুলি। তাদের গায়ে শ্যাওলা, ফার্ণ, পরজীবীদের বাস। বিকেলের পর থেকে তারই ফাঁক দিয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে মেঘের স্তর। চাইলে এখান থেকেই গাড়িতে ঘুরে আসতে পারেন মাত্র ১৭ কিমি দূরের দার্জিলিং শহর ও ১২ কিমি দূরের ঘুম স্টেশন। অথবা শুধুমাত্র এখানে থেকেই পায়ে হেঁটে পাইনের জঙ্গলে করতে পারেন অ্যাডভেঞ্চার। স্থানীয়দের কাছে পথের হদিস জেনে অল্প চড়াই পেড়িয়ে দেখে আসতে পারেন শান্ত নীরব ভিউ পয়েন্ট।

যাবেন কিভাবে :
পাহাড়ে গেলেই খরচের প্রধান ধাক্কা আসে গাড়ি ভাড়ায়। আপনায় পকেট সমস্যা করলে ব্যবহার করুন শেয়ার কার। ট্রেনে এনজেপি তথা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন পৌঁছে সেখান থেকে চলে যান দার্জিলিং মোড়। স্টেশনের বাইরেই মিলবে ম্যাজিক অটো। ভাড়া ৩০ টাকা। তারপর দার্জিলিং মোড় থেকে পাবেন সুখিয়াপোখরি-র শেয়ার কার৷ ভাড়া মাথা পিছু ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। সুখিয়া পৌঁছে দার্জিলিং বা ঘুমগামী রাস্তায় ধরুন শেয়ার কার। ৭০ থেকে ১০০ টাকায় সুখিয়া পোখরি রোডের উপরেই পড়বে পাইনের জনপদ লেপচাজগৎ।

কোথায় থাকবেন :

লেপচাজগৎ এখন বেশ পরিচিত নাম। ফলে এখানে রয়েছে একাধিক হোম স্টে। সবচেয়ে কম মাথাপিছু থাকা খাওয়া নিয়ে দিনপ্রতি ১২০০ টাকা – ১৫০০ টাকা খরচ।
যোগাযোগ করতে পারেন –
প্রকাশ লামা ও সবিতা লামা – ৯৮৩২৪২৯৪৮৬/৬২৯৫৩১০৪২১/৭৮৭২২২৮১১২