পশু খাদ্য অপ্রতুল হয়ে উঠছে। অনেক ক্ষেত্রেই মেশিনেই কাটা হচ্ছে মাঠের ধান। ফলে নষ্ট হচ্ছে খড়। কম আসছে ঘাস যুক্ত পশুচারন ভূমি। তাছাড়া চাষের জন্য অনেকেই জৈব সারের দিকে ঝুঁকছেন। কিন্তু বিপুল পরিমাণ ঘাস-পাতা সংগ্রহ করে পচা সার তৈরিও সহজ নয়। এই সব সমস্যার সমাধান হয়ে উঠেছে গিনি ঘাস। ফলে এই সমস্ত ক্ষেত্রে চাষ করা গিনি ঘাস যোগান দিয়ে অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান সম্ভব।
গিনি ঘাস জমিতে চাষ করে পরবর্তী চাষের আগে ট্রাক্টর চালিয়ে জমিতে মিশিয়ে দিলে সহজেই জৈব সারের যোগান মিলবে। তার আগে জমিতে চাষের আগে ৪৫ দিন ধরে এই সবুজ ঘাস বৃদ্ধি করতে হবে। মাটিতে ঘাস মিশে যাওয়ার পর বৃষ্টির জল মিশে প্রাকৃতিক ভাবেই জমিতে ঘাস পচবে। যা সার হিসেবে মাটিকে আরও উর্বর করে তুলবে। ফলে স্বাভাবিক ভাবে ক্ষতিকর রাসায়নিক সারের চাহিদা হ্রাস করা যাবে। পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ হবে।
এছাড়া পশুখাদ্য হিসেবেও গিনি ঘাসের গুরুত্ব রয়েছে। পুষ্টিগুনের কারনে এই ঘাস পশুদের দুধ উৎপাদনের ক্ষমতা অনেকগুন বৃদ্ধি করে।