অ্যাসিডিটি বা অম্বল অনেকেরই নিত্যসঙ্গী। অনেক ক্ষেত্রেই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই টক ঢেকুর বা আত্মীয় বাড়িতে নিমন্ত্রণ রক্ষায় একটু গুরুপাক খেয়েই সারাদিন মুখ টক, এমন সমস্যার উদাহরণ প্রত্যেকের বাড়িতেই থাকে। কিন্তু অবহেলার কারণে এই অ্যাসিডিটি বা অম্বল সমস্যার আকার নিতে পারে। চিকিৎসকদের বক্তব্য, আমাদের অম্বলের সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ আমাদের জীবনযাত্রা। তাই অম্বলের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছু বিষয় মেনে চলা প্রয়োজন।
১. অসময়ে অনিয়মিত চা বা কফি পান নয় – অনেকেই অসময়ে বা ঘুম থেকে উঠেই চা, কফি নিয়ে বসেন। অজান্তেই এ’গুলি ক্ষতি করছে আপনাদের। এই পানীয়গুলি অম্বলেএ ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। আপনার যদি একটুতেই অ্যাসিডিটি হয়ে যায় তবে চা-কফিতে সাময়িক বিরতি দিন।
২. অনিয়মিত বা অসময়ে খাবার খাওয়ার অভ্যেস ত্যাগ – খাবার সঠিকভাবে হজম করার জন্য পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ক্ষরিত হয়। অনেকক্ষণ ছাড়া ছাড়া খাওয়া, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়ার ফলে আপনার পেটে অ্যাসিড তৈরি হতে পারে যা অ্যাসিডিটির কারণ হয়। সঠিক সময়ে এবং তিন ঘন্টা ছাড়া পরিমিত আহারের অভ্যাস তৈরি করুন।
৩. ধুমপান ও মদ্যপান নিয়ন্ত্রণ- মদ্যপানের ফলে শরীরে অ্যালকোহল যায়৷ যার অ্যাসিড গোত্রের কারণে পাকস্থলীতে অম্লের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত মদ্যপান অম্বলের সমশ্যা বাড়িয়ে দেয়।
৪. খাওয়ার সাথে সাথে ঘুম ও অপর্যাপ্ত ঘুম – রাতে খাওয়ার সাথে সাথে বা দুপুরের মধ্যাহ্ন ভোজনের পরেই শুয়ে পড়া বা ঘুমাতে যাওয়া উচিৎ নয়। আমাদের রাতের ঘুম সবচেয়ে বেশি সময়ের। এই ঘুমের সময় আমাদের শরীরের বিএমআর রেট কমে যায়। ফলে খাবার হজম হয় ধীরে। রাতে খাওয়া হালকা করুণ এবং খাদ্যগ্রহণের ২-৩ ঘন্টা পরে শুতে যান। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত ঘুমও আবশ্যিক। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের রাতে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। সেই দিকেও খেয়াল রাখুন।