বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদ
রায়গঞ্জ: বর্ষার শুরুতেই উত্তর দিনাজপুর জেলার সমস্ত নদীতে হলুদ সর্তকতা জারি করল সেচ দপ্তর। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের মতো ভারী বর্ষণ হলে সঙ্গে সঙ্গে লাল সতর্কতা জারি করা হতে পারে বলে খবর। সতর্কতা জারি পাশাপাশি ভারী বর্ষণে এলাকা প্লাবিত হলে তা মোকাবিলায় প্রস্তুত রায়গঞ্জ মহাকুমা প্রশাসন। ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফে বন্যা মোকাবিলার যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে।
গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে রায়গঞ্জ ব্লকের কুলিক ও নাগর নদীতে জল বাড়তে শুরু করেছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রায়গঞ্জ পুরসভা ও রায়গঞ্জ ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই দুই নদীঘেঁসা এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে বন্যার আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
খবর পেয়ে, এদিন সকাল থেকেই সেচ দপ্তরের কর্তা উত্তম হাজরা সহ অন্যান্য আধিকারিকরা ইটাহারের সুঁই, মহানন্দা, রায়গঞ্জ ব্লকের কুলিক ও নাগর নদী পরিদর্শন করছেন। নদী বাঁধে ২৪ ঘন্টার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে সেচ দপ্তরের কর্মীদের। তিন ঘন্টা অন্তর নদীর জলস্তর কি পরিমাণ বাড়ল তা হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে জানাতে হবে সেচ দপ্তরের কর্তাদের।
সূত্রের খবর,শুক্রবার রায়গঞ্জ মহাকুমায় ইটাহার দুর্গাপুর এলাকার সুঁই নদীর ধারে পাঁচ হাজার বালির বস্তা ফেলা হয়েছে হয়েছে। ইসলামপুর মহকুমার ক্ষেত্রেও পাঁচ হাজার বালির বস্তা বাঁধ মেরামতের জন্য পাঠানো হয়েছে।এই প্রসঙ্গে সেচ দপ্তরের আধিকারিক উত্তম কুমার হাজরা বলেন, “দুই মহকুমায় দশ হাজার বালির বস্তা মজুদ করা হয়েছে। এখনও লাল সতর্কতার মতো অবস্থা হয়নি। তবে, রাতভর বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নেবে।”
প্রশাসন সূত্রের খবর, বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও সন্ধ্যার পর থেকে রায়গঞ্জ ব্লকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ইসলামপুর মহকুমারও বিভিন্ন এলাকায় একটানা বৃষ্টির জেরে এলাকার দুই নদীর জল অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ইটাহার ব্লকের মহানন্দা, সুঁই, চাকুলিয়া ব্লকের গামাই নদীতে জলস্তর ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবস্থায় বন্যার পরিস্থিতির মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে দাবি জেলা প্রশাসনের।
[qws]Tags:রায়গঞ্জ,আবহাওয়া, উত্তর দিনাজপুর,