নববধূ জ্বলছে আগুনে, দাঁড়িয়ে দেখলো অভিযুক্তরা
The bride was on fire, the accused stood and watched
GNE NEWS DESK: প্রথমে প্রেম ও পরে বিয়ে। কিন্তু সেই ভালোবাসার বিয়ে ছয় মাসও টিকলনা। বিয়েতে একগাদা টাকা ও পণ্যসামগ্রী যৌতুক নেওয়ার পরও শ্বশুর বাড়ির আবদার মেটানো সম্ভব হয়নি। প্রতিদিনই চলত যৌতুকের কারণে নিত্য অত্যাচার । সেই অত্যাচার গিয়ে পৌঁছলো শেষ সীমায় । বাড়ির বউয়ের গায়ে দিয়ে দেওয়া হল আগুন। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের এরপর পালিয়ে যায় ।মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মেয়েটি মারা যায়।
পুলিশ জানিয়েছে মৃতার নাম নম্রতা বিশ্বাস(১৮) (Namrata Bishes) ও তার স্বামীর নাম জয়দেব বিশ্বাস (joydev Bishes)। এরা দুজনেই রায়গঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা । ভালোবাসার টানে নম্রতা নিজের ঘর ছেড়ে জয়দেব কে বিয়ে করেছিলেন। পরে অবশ্য সামাজিক পদ্ধতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের সময় পন হিসেবে চার লক্ষ টাকা যৌতুক ও অন্যান্য পণ্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরেও শ্বশুরবাড়ির নিত্যনতুন আবদার লেগেই থাকত। তারা বারবার নম্রতাকে উত্ত্যক্ত আরো যৌতুক দেওয়ার জন্য। কিছুদিন পর এই উত্তপ্ত বদলে যায় অত্যাচারে। চলত মারধর ,দিনের-পর-দিন খেতে দেওয়া হত না। এমনকি জয়দেবের অন্য জায়গায় বিবাহ স্থির করা হয়েছে এরূপ কথাবার্তা বলা হতো কাকে।
বৃহস্পতিবার সকালে বাবা নরেন বিশ্বাস একটি ফোন পান নম্রতার শ্বশুরবাড়ি তরফ থেকে। তার শ্বশুরবাড়ি থেকে জানানো হয় নম্রতা গায়ে আগুন দিয়েছে ।খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেই উদ্দেশ্যে ছোটেন নরেন বাবু । গিয়ে দেখেন সেখানে কেউ নেই। অগ্নিদগ্ধ মেয়ে কে নিয়ে তিনি উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করে আসার পর নম্রতার বাবা রায়গঞ্জ থানায় মেয়ের শ্বশুরবাড়ির এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি আরো জানান, বিয়ে দেওয়ার পরও শান্তি ছিল না তাদের। প্রায় শ্বশুর বাড়ি থেকে ফোন করে তাদের কাছে টাকা চাওয়া হতো। মারধর করা হতো মেয়েকে, খেতে দেওয়া হত না। এমনকি জামাই জয়দেব মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে নম্রতাকে মারধর করতো । শ্বশুর বাড়ি অন্যরাও মারধর করেছে আগে। তাকে বারবার পন চাওয়া হলে এবং তিনি সেটি না দিতে পারায় তারা রেগে যায় এবং নম্রতার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। নরেন বাবু আরো জানিয়েছেন নম্রতা মরে যাওয়ার আগে তাকে বলে গেছে যে তার শ্বশুরবাড়ির পাঁচজন মিলে তার গায়ে আগুন দিয়েছিল এবং সে চিৎকার করে সাহায্য প্রার্থনা করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি এবং জানলা দিয়ে সবাই বাইরে থেকে সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখছিল। এরপরই তারা পালিয়ে যায়। নম্রতার বাবা পুলিশের কাছে এই নৃশংস ঘটনার কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন এবং সেই সঙ্গে জয়দেবের পড়শীরাও পুলিশের কাছে আবেদন জানান যেন এই অপরাধের জঘন্যতম শাস্তি হয়। পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।
[qws]Tags: আপডেট খবর,বাংলা খবর,করোনা আপডেট, আজকের রাশিফল, bengalinews, ভারতের খবর, আজকের খবর, আবহাওয়ার খবর,ঝাড়গ্রাম, উপকারিতা, দেশের খবর, আজকের নিউজ,