দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরেও যাতে কানে কোনোরকম ব্যথা না হয় তার জন্য যন্ত্রাংশ তৈরি করে নজির গড়লেন জাতীয় পুরস্কার জয় বাংলার কন্যাশ্রীর


পূর্ব মেদিনীপুর: করোনা ভাইরাস চলাকালীন সময়ে বাইরে বেরোলেই জরুরি এখন মাস্ক। কিন্তু এদের মধ্যে অনেকেই সমস্যায় ভুগছেন এই নিয়মিত মাস্ক ব্যাবহার করে। কানে ব্যথা হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরে থাকার ফলে। যেটা দীর্ঘ সময় থেকে যাচ্ছে মাস্ক খোলার পরেও। জাতীয় পুরস্কার পেল পূর্ব বর্ধমানের মেমারির স্কুলছাত্রী দিগন্তিকা বসু এই ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে বিশেষ টুল বা যন্ত্রাংশ তৈরি করে।
ওই ছাত্রী ডা এপিজে আবদুল কালাম ইউনাইটেড মাইন্ড চিলড্রেন ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে মেমারি ভিএম ইনস্টিটিউশন ইউনিট-২ এর দ্বাদশ শশ্রেণীতে পাঠরতা। এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে শুক্রবার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। খুদে বিজ্ঞানীরা এবারের পুরস্কারের জন্য মোট ২২টি রাজ্য থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। আর তাদের মধ্যে পুরস্কার পেয়েছেন এই নয়জন।
মেমারির কন্যাশ্রী এই উদ্ভাবনী সম্বন্ধে জানিয়েছেন, সকলকেই মাস্ক ব্যবহার করতে হচ্ছে এই অতিমারীর সময়ে। মাস্ক পরে কর্তব্য পালন করতে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশকর্মীদের দীর্ঘ সময় ধরে। তাঁদের কানের পিছনের দিকে ব্যথা হচ্ছে এই দীর্ঘক্ষণ ধরে মাস্ক পড়ার দরুন।
আর এই সমস্যার থেকেই মুক্তি দিচ্ছে দিগন্তিকার উদ্ভাবনী। এই খুদে বিজ্ঞানী একটি বিশেষ নকশা তৈরি করেছে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক বা নমনীয় বোর্ডের মাধ্যমে। এই টুলটি মাথার পিছনের দিকে আটকে থাকবে মাস্ক ব্যাবহারের সময়। তাই আর কানে ব্যাথা হবে না দীর্ঘ সময় মাস্ক পরে থাকলেও। এই উদ্ভাবনীর জন্যই দিগন্তিকা জাতীয় স্বীকৃতি পেয়েছে। মেমারির এই কন্যা এর আগেও জাতীয় স্তরে একাধিক পুরস্কার পেয়েছে।