

India ready to face any challenge in Ladakh-Bipin Rawat
GNE NEWS DESK:ভারতের সশস্ত্র বাহিনী লাদাখে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে জানিয়েছেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত। এমনকি এলএসিতে চীনা সেনাদের উসকানিমূলক তৎপরতায় উদ্বেগের কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) সংসদে প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক ছিল। সেখানেই জেনারেল বিপিন রাওয়াত বলেন, উদ্বেগের কারণ নেই। লাদাখ সীমান্তে যেকোনো চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
তিনি বলেন, লাদাখে চীন যেমন অতিশয় অ্যাডভেঞ্চারিজমে নেমে পড়েছে, তেমন এটাও বাস্তব যে ভারতীয় বাহিনীও যোগ্য জবাব দিয়েছে। চোখে চোখ রেখে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিচ্ছে ভারতীয় সেনারা। সাউথ ব্লকও পূর্ব লাদাখে প্রস্তুতি বাড়িয়েছে। গেরিলা বাহিনী, বিশেষ প্রশিক্ষিত কমান্ডো পাঠানো থেকে শুরু করে সেখানে অস্ত্র ও রসদের সরবরাহও বাড়িয়েছে। তা ছাড়া প্রস্তুত রয়েছে বিমানবাহিনীও।
জেনারেল বিপিন রাওয়াত কমিটিকে বলেন, সশস্ত্র বাহিনী এলএসির(LOC) স্থিতাবস্থায় আরো পরিবর্তন বা পরিবর্তন আনার জন্য চীনের যেকোনো প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রতিরক্ষা বাহিনী সজাগ রয়েছে এবং সীমান্তে যেকোনো বিপর্যয় ঘটলে তাঁরা চায়নিজদের উপযুক্ত জবাব দেবে।
প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এদিন উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)। যিনি চীনা সংঘাতের প্রশ্নে নিয়মিত সরকারের সমালোচনা করছেন। তবে বৈঠকে রাহুল অবশ্য খুব একটা আগ্রাসী ছিলেন না। শুধু এ প্রশ্ন করেন যে সীমান্তে সেনা সদস্য ও অফিসারদের কেন পৃথক খাবার পরিবেশন করা হয়। এই বৈষম্য কেন।
তবে বৈঠকে আক্রমণাত্মক না হলেও এদিন বিকেলে ফের টুইট করে মোদি সরকারের সমালোচনা করেন রাহুল। রাশিয়ায় ভারত-চীন বিদেশ পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে গতকাল। সে প্রসঙ্গ তুলে রাহুল বলেছেন, এ বছর মার্চ মাসের আগের পরিস্থিতি ফেরানোর ব্যাপারে সম্মত হয়েছে কি বেইজিং? নাকি মোদি সরকার দখল হয়ে যাওয়া ভারতীয় ভূখণ্ডের দাবি ছেড়ে দিয়েছে। তা যদি হয়, তাহলে এ ধরনের বৈঠকের কোনো অর্থ নেই।
উল্লেখ্য, গতকাল (১০ সেপ্টেম্বর) মস্কোয় রাশিয়ার মধ্যস্থতায় ভারত ও চীনের বিদেশ পর্যায়ের বৈঠক হয়, সেখানে পূর্ব লাদাখে সৃষ্ট উত্তেজনা থেকে বেরিয়ে আসতে পাঁচ দফা পরিকল্পনার বিষয়ে দুই দেশ একমত হয়েছে।