বিড়ি-বিলাসী রসিকজনেরা বলেন, ‘বিড়ি স্বর্গের সিঁড়ি!’ তবে রাজস্থানের পালি জেলার মারওয়ার জংশন এলাকার বাসিন্দা এম প্রবীণ কুমারের জন্য সিঁড়িটি হাজত অব্দি গিয়েছে। বিমানযাত্রায় বিড়ি খেয়ে এখন শ্রীঘরে ঠাঁই হয়েছে তাঁর।

নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত এম প্রবীণ কুমার একজন আত্মীয়কে নিয়ে আকাসা এয়ারের বিমানে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিলেন। এক আত্মীয়ের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিমানে যাওয়ার সময় শৌচাগারে গিয়ে বিড়ি ধরিয়ে সুখটান দেওয়া শুরু করেন তিনি। ব্যাস! বেজে ওঠে বিপদ ঘন্টি৷ আটক করা হয় প্রবীণকে।

জিজ্ঞাসাবাদে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে তিনি জানিয়েছেন, নিয়মত রেলে যাতায়ান করলেও এটি ছিল তাঁর প্রথম বিমানযাত্রা। বিমানে ধূমপানের ক্ষেত্রে এতটা কড়াকড়ি সে বিষয়ে তাঁর জানাছিল না। রেলযাত্রায় লুকিয়ে ধূমপানের অভ্যাসেই শৌচাগারে গিয়ে বিড়ি ধরান তিনি। এখন শ্রীঘরে ঠাঁই হয়েছে প্রবীণের৷ কিন্তু একজন যাত্রীর বিড়ি, লাইটার সহ বিমানে উঠে পড়াকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও তল্লাশি নিয়ে।