তিনি যুগ পুরুষ। তাই শতাব্দী কাটলেও আজও প্রচন্ড রকমের প্রাসঙ্গিক সমাজ, নীতি, জীবন, ধর্ম নিয়ে তাঁর বিভিন্ন বাণী। তিনি স্বামী বিবেকানন্দ।
১২ জানুয়ারির প্রাক্কালে স্বামী বিবেকানন্দের কিছু বাণী-
১. বিদ্যাশিক্ষা কাকে বলি? বই পড়া?-না, নানাবিধ জ্ঞানার্জন? তাও নয়। যে শিক্ষা দ্বারা এই ইচ্ছাশক্তির বেগ ও স্ফুর্তি নিজের আয়ত্তাধীন ও সফলকাম হয়, তাহাই শিক্ষা।
- Advertisement -
২. সর্বপ্রকার শিক্ষার অর্থই আদান-প্রদান— আচার্য দিবেন, শিষ্য গ্রহণ করিবেন। কিন্তু আচার্যের কিছু দিবার বস্তু থাকা চাই, শিষ্যেরও গ্রহণ করিবার জন্য প্রস্তুত হওয়া চাই।
- Advertisement -
৩. দুই প্রকার দান বিশেষ প্রশংসার – বিদ্যাদান আর প্রাণদান। বিদ্যাদানের স্থান সর্বাগ্রে। অপরের জীবন রক্ষা করা উত্তম কর্ম, বিদ্যাদান অধিকতর উত্তম কর্ম।
৪. শক্তি ও সাহসিকতাই ধর্ম। দুর্বলতা ও কাপুরুষতাই পাপ। অপরকে ভালোবাসাই ধর্ম, অপরকে ঘৃণা করাই পাপ।
৫. দর্শনবর্জিত ধর্ম কুসংস্কারে গিয়ে দাঁড়ায়, আবার ধর্মবর্জিত দর্শন শুধু নাস্তিকতায় পরিণত হয়।
৬. অসংযত ও উচ্ছৃঙ্খল মন আামাদের নিয়ত নিম্ন থেকে নিম্নতর স্তরে নিয়ে যাবে এবং চরমে আমাদের বিধ্বস্ত করবে, ধ্বংস করবে। আর সংযত ও সুনিয়ন্ত্রিত মন আমাদের রক্ষা করবে, মুক্তিদান করবে।
৭. হে বীরহৃদয় যুবকগণ ,তোমরা বিশ্বাস কর যে ,তোমরা বড় বড় কাজ করবার জন্য জন্মেছ। ওঠ, জাগো, আর ঘুমিও না; সকল অভাব, সকল দুঃখ ঘুচাবার শক্তি তোমাদের ভিতরেই আছে। এ কথা বিশ্বাস করো, তা হলেই ঐ শক্তি জেগে উঠবে।
৮. সাহসী হও, সাহসী হও! মানুষ একবারই মরে। আমার শিষ্যেরা যেন কখনো কোনমতে কাপুরুষ না হয়।
৯. ভয় ও অপূর্ণ ইচ্ছাই আমাদের দুঃখের প্রধান কারণ।
১০. মানুষ জ্ঞানের পরিচয় তার কথায়, যোগ্যতার পরিচয় তার কর্মে, আর বংশের পরিচয় তার ব্যবহারে।