রাহুল গান্ধীর মোদী পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে দু’বছর জেলের সাজা দেয় গুজরাতে সুরাত জেলা আদালত। এরপরেই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করলেন। শুক্রবার লোকসভার সচিবালয়ের তরফে সেই মর্মে জারি করা হল বিজ্ঞপ্তি৷

লোকসভার সচিবালয়ের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৩ শে মার্চ সুরাত জেলা আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)(ই) অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫১ এর ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কেরলের ওয়েনাড লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হিসেবে রাহুল গান্ধীর লোকসভায় সাংসদ পদ বাতিল করা হচ্ছে৷ জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, কোনও অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাংসদ বা বিধায়ক বা কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দু’বছর বা তার বেশি কারাদণ্ড পেলে সাংসদ বা বিধায়ক পদ সেই মুহূর্তে খারিজ হবে।

ঘটনার প্রেক্ষিতে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়ে দেশের রাজনৈতিক মহলে৷ কংগ্রেসের তরফে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে অন্যান্য বিরোধী দলগুলির তরফেও। সিপিআইএম-এর আইনজীবী নেতা সায়ন ব্যানার্জির প্রশ্ন তুলেছেন, অত্যন্ত তৎপরতার সাথে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হলেও তৃণমূল সাংসদদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি কেন কেন্দ্রের সরকার। তাঁর কটাক্ষ, “২০১৬-১৯ তৃনমূলের ঘুষখোর সাংসদের বিরুদ্ধে একটাও এথিক্স কমিটির মিটিং ডেকে তৃনমূলের সাংসদ পদ খারিজ করতে পারলো না বিজেপি।”