

GNE NEWS DESK:প্রকাশ্য সভায় অশালীন ভাষা ব্যবহার করে দল অঞ্চল ও বুথ সভাপতিদের অপমান করার অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ার (Bankura) রানিবাঁধ ব্লক তৃণমূল সভাপতি চিত্তরঞ্জন মাহাতো (TMC Block President Chittaranjan Mahato) এর বিরুদ্ধে।
ওনার বিরুদ্ধে অভিযোগ উনি প্রকাশ্য সভায় বলেন ওনার সঙ্গে দল না করলে ‘কুকুরের মত’ দল থেকে বিতাড়িত করা হবে। একজন নেতার মুখে এই ধরনের ভাষা শোনার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ট্রল হতে থাকেন তিনি। তাকে তোপ দেগেছেন তাদের কর্মী এবং সভাপতিরাই। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখন সব প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
এই নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। বাঁকুড়া জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি বিদ্যুৎ দাস অভিযোগ করেন, “রবিবার ঝিলিমিলিতে দলের একটি কর্মসূচিতে গিয়ে প্রকাশ্য সভায় দলের ব্লক সভাপতি চিত্ত মাহাতো রীতিমত হুমকি (Abusive Language) দিয়ে দলের অঞ্চল ও বুথ সভাপতিদের অপমান করেছেন।
বলেছেন, ওনার সঙ্গে দল না করলে ‘কুকুরের মত’ দল থেকে তাড়াবেন।’’ তিনি আরও বলেন, “সদ্য দলের ব্লক সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই দীর্ঘদিনের একনিষ্ঠ কর্মীদের এইরকম জঘন্য ভাষায় অপমানজনক কথাবার্তার আমরা তীব্র প্রতিবাদ করেছি। আর এটা নিয়েই এলাকায় দলের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে।
তারই প্রতিবাদে কর্মীদের একাংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন। এটা ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।” এই ঘটনার ফলে দলের গোষ্ঠী কোন্দল এর নগ্ন গ্রুপটা সকলের সামনে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন আগেই দলের মধ্যে এক বিশাল বড় অদল বদল করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বহুদিনের স্বভাব ব্লক সভাপতি সুনীল মণ্ডল কে সরিয়ে চিত্ত রঞ্জন মাহাতো কে রানিবাঁধ ব্লক সভাপতি করেন। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত অনেকেরই পছন্দ হয়নি। তারা অনেকেই এর বিরোধিতা করার চেষ্টা করেছিলেন ।দলের মধ্যেই শুরু হয় অন্তর্দ্বন্দ্ব।
যদিও এই অভিযোগ কে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করে গিয়েছেন চিত্তরঞ্জন মাহাতো। তার মতে তাকে নিয়ে শুধু শুধু ট্রোল করা হচ্ছে ।তিনি এই ধরনের কোন কথাই বলেননি যে তিনি দল থেকে কাউকে কুকুরের মত তাড়াবেন। তার বক্তব্য, “দলের মধ্যে যারা গুন্ডামি, তোলাবাজি করবে তাদেরকে সতর্ক থাকার জন্য বলেছি। তা নাহলে জনগণ কুকুরের মত তাড়াবে বলেছি।
কোনও বুথ বা অঞ্চল সভাপতিকে কুকুরের মত দল থেকে তাড়ানোর কথা বলিনি। আমি ব্লক সভাপতি হওয়ার জন্য কিছু নেতার গাত্রদাহ হচ্ছে। তারাই আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো পোস্ট করছে। পুরোটাই অপপ্রচার। বিষয়টি দলের জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি।”
তবে তৃণমূলের অন্দরমহল থেকে এই নিয়ে কোনো কথা শোনা যায়নি বা এ বিষয়ে মুখ খোলা হয়নি। শুধুমাত্র নেতা শ্যামল সাঁতরা জানিয়েছেন দল বিরোধী কোনো কাজকর্ম কেউ করলে তাকে যথাযথ শাস্তি পেতে হবে। তবে এই অভিযোগ সত্যি কিনা তা এখনও পুরোপুরি ভাবে জানা যায়নি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াতে বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার কারণে বেশ ট্রল হয়েছেন চিত্ত রঞ্জন মাহাতো ।
যার ফলে দলের মধ্যে যারা তার বিরোধিতা করেন তারা তাকে বেশ কোণঠাসা করে ফেলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সর্বোপরি আসন্ন নির্বাচনের আগে দলের মধ্যেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সমস্যা প্রকট হয়ে উঠছে দিনে দিনে। পরবর্তীকালে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই নির্বাচনে জেতার আগে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।