GNE NEWS DESK: একের পর এক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিভিন্ন সরকারি কমিটি থেকে পদত্যাগের পর মন্ত্রিত্বও ছেড়েছেন। কিন্তু সেই বিষয়ে সরাসরি মন্তব্যে যাননি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা কাঁথির দলীয় সাংসদ শিশির অধিকারী। শুভেন্দুর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন বারবার। কিন্তু অবশেষে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কদর্য আক্রমনের প্রেক্ষিতে মুখ খুললেন তিনি। কার্যত শুভেন্দু অধিকারীর পাশে দাঁড়িয়ে বোঝালেন ব্যক্তিগত আক্রমণ সহ্য করবে না অধিকারী পরিবার।
শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করায় শিশিরবাবু জানিয়েছিলেন, তিনি তৃণমূলেই আছেন। শুভেন্দু ব্যক্তিগত কারনে পদত্যাগ করেছেন। অনেক পদে ছিলেন তাই একটা ইর্ষা তৈরি হয়েছিল। তাই ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ চলছিল। এবার সেটা বন্ধ হোক।
কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমণের ধারা বজায় রেখেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ নাম না করে বলেন, “আমরা চাই, যত কালো রক্ত আছে, বিজেপিতে যোগদান করুক।”
এরপরই মুখ খোলেন শিশির অধিকারী, “আমি তৃণমূলে ছিলাম, আছি, থাকব। বয়স অনেক হল। অনেক কিছু দেখলাম, শিখলাম। এই বয়সে অন্য কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো মানসিকতা নেই। শুভেন্দু মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছে। ক্ষোভ, অভিমান আছে। তবে দলেরই কয়েকজন জোর করে ঠেলে বিজেপিতে পাঠিয়ে দিতে চায়। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু সম্পর্কে যা বলছেন, তা ঠিক করছেন না। শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিসভা ছেড়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়েছে কি? কে কী বলছেন জানি না। তবে আমি এখনও তৃণমূল কংগ্রেসে রয়েছি। দলের জেলা সভাপতি এখনও আমি। আর শুভেন্দুর মন্ত্রিসভা ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও আমার কোনও কথা হয়নি।”
রাজ্যের বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে শিশির অধিকারীর মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ন। কারন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু প্রসঙ্গে আলোচনার পক্ষপাতী। তাই বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায় এখনও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, “আমি খুবই আশাবাদী। সমস্যা ঠিকই মিটবে। হয়তো একটু সময় লাগবে। কিন্তু মিটবে। ওর সঙ্গে আলোচনার দায়িত্ব আমাকে নেত্রী দিয়েছিলেন। আমরা খোলাখুলি আলোচনা করেছিলাম। শুভেন্দু দল ছাড়ার কথা একবারও বলেননি।”