মোদী সরকারের এবার টার্গেট কৃষকদের লুঠ করার


✒️মহাশীস মাহাতো:সংসদীয় রাজনীতির কালো দিন। যে ভাবে কেন্দ্রের মোদী সরকার আলাপ -আলোচনা ছাড়াই, সমস্ত সংসদীয় গণতান্ত্রিক কাঠামো কে হত্যা করে, বিতর্কিত কৃষি বিল রাজ্যসভায় পাশ করানো হল তাতে সরকারের স্বৈরাচারী স্বরূপ পষ্ট।
রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন,- ” কৃষককে লুঠ করতেই এই আইন করা হয়েছে। এটা মজুমদার – কালোবাজারীর সরকার। এই বিলের ফলে দেশে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হবে “। তিনি এই বিলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।
দেশের প্রায় সত্তর শতাংশ মানুষ কৃষি নির্ভর। সেই কৃষি ক্ষেত্রে কে কর্পোরেট প্রভুদের মুনাফার মৃগয়া ভূমিতে পরিণত করার জন্যই এই আইন। এই আইনের ফলে কৃষকদের সর্বনাশ হবে।কৃষি ফসলের মূল্য ও বানিজ্য সবটাই নিয়ন্ত্রণ করবে পুঁজিপতিরা।
দেশের অধিকাংশ মানুষ যেখানে কৃষিজীবী, যেখানে কেন কৃষকদের অন্ধকারে রেখে, খোলামেলা বিতর্ক বাদ দিয়ে, দেশের কৃষক সংগঠন গুলো এবং রাজনৈতিক দল গুলোর সাথে কোন রকম আলাপ আলোচনা ছাড়াই গায়ের জোরে এই বিল পাশ করাতে হলো??
আসলে ব্যঙ্ক, বীমা, রেল, কয়লা, বিমানবন্দর সহ সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা গুলোকে যেমন বিক্রি করে কর্পোরেটদের স্বার্থ রক্ষা করছে মোদী সরকার, তেমনি কৃষি ও কৃষকদের নিয়ে ব্যবস্যা করার জন্য কর্পোরেটদের দরজা খুলে দিচ্ছে ইএ সরকার। তাই সমস্ত সমস্ত সংসদীয় রীতি – নীতি কে হত্যা করে, সমস্ত গণতান্ত্রিক নিয়ম কানুন কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বিতর্কিত কৃষি বিল পাশ করানো হলো কৃষক স্বার্থে নয় , কর্পোরেট প্রভুদের তুষ্ট করতেই এই বিল।
এই জন্যই তো কোন রকম ভোটাভুটি ছাড়াই, বিরোধীদের সামনে রক্ষীদের দিয়ে মানব প্রাচীর তৈরি করে স্বৈরাচারী কায়দায় কৃষি সংক্রান্ত দুটি বিল পাশ করানো হয়েছে।
এই বিল কৃষক স্বার্থ বিরোধী তথা দেশের জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী। এই বিলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। আসুন মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে কৃষক বিরোধী এই বিলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠুন।
[ “মতামত” বিভাগের সমস্ত লেখার দায়িত্ব লেখকের এর সঙ্গে GNE MEDIA NETWORK কোন ভাবেই যুক্ত নয়]