চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জেলাগুলিতে সাম্প্রতিক সময়ে বৃদ্ধি পেয়েছে বন্য হাতির উপদ্রব। গত বছর মৃত্যু হয়েছে অনেক। ভেঙেছে বাড়ি, নষ্ট হচ্ছে ফসল। সেই পরিস্থিতিতে বন দফতরের উপর ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার জঙ্গল নিকটস্থ গ্রামগুলিতে। সেই পরিস্থিতিতে ‘হাতির জন্ম নিয়ন্ত্রণে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি’র বিষয়ে জানালেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
- Advertisement -
রবিবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিকে নিয়ে ‘বন বান্ধব উৎসব’ পালিত হল পশ্চিম মেদিনীপুরের গোপগড় ইকোপার্কে। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া, বনদপ্তরের বিভিন্ন আধিকারিক, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক, পুলিশ সুপার প্রমুখরা। অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যে হাতির উপদ্রব বৃদ্ধির প্রসঙ্গ তোলেন বনমন্ত্রী।
- Advertisement -
হাতির উপদ্রবের সমস্যা সমাধানে বেশ কয়েকটি নতুন পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন তিনি ৷ তিনি বলেন, “হাতির হানা রুখতে করিডর তৈরি হবে পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলাতেও। উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও হাতির করিডর তৈরি করা হচ্ছে। তার জন্য কেন্দ্র ৪০ শতাংশ, রাজ্য ৬০ শতাংশ খরচ করবে।” তিনি আরও জানান, “জঙ্গলমহলে যে দলছুট হাতিগুলি প্রায় লোকালয়ে দিনের আলোয় প্রবেশ করে যাচ্ছে এবং যাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না বনদপ্তর, সেই হাতিগুলিকে ট্রাঙ্কুলাইজ করা হবে। এমন দশটি হাতিকে ট্রাঙ্কুলাইজ করার জন্য কেন্দ্রের কাছে অনুমতি মিলেছে। তার মধ্যে তিনটি হাতিকে ট্রাঙ্কুলাইজ করা হয়েছে। হাতির জন্ম নিয়ন্ত্রণ নিয়েও সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানানো হয়েছে।”