রোহিত শর্মার নেতৃত্বে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স মঙ্গলবার রাতে আইপিএল ২০২৩-এ হ্যাটট্রিক জয় নিবন্ধন করেছে। দলটি তাদের ৫ম ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে ১৪ রানে হারিয়েছে। ম্যাচের ২০তম ওভারে বাঁহাতি ফাস্ট বোলার অর্জুন টেন্ডুলকার দারুণ বোলিং করে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ম্যাচে প্রথমে খেলতে নেমে ৫ উইকেটে ১৯২ রান করে মুম্বাই। জবাবে হায়দ্রাবাদ দল গুটিয়ে যায় ১৭৮ রানে। যদিও টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে শুরুটা ভালো হয়নি এমআইয়ের। প্রথম দুই ম্যাচেই হেরেছিল দলটি।
ইনিংসের ২০তম ওভারের কথা বলতে গেলে, প্রাক্তন ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকার এই ওভারটি করেছিলেন। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে জয়ের জন্য ৬ বলে ২০ রান করতে হয়েছিল যখন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের প্রয়োজন ছিল ২ উইকেট। প্রথম বলে রান করতে পারেননি আবদুল সামাদ। দ্বিতীয় বলে রান আউট হন তিনি। পরের বলটি গেল ওয়াইডে। মায়াঙ্ক মার্কন্ডে তৃতীয় বলে ২ রান এবং চতুর্থ বলে এক রান নেন। ৫ম বলে বড় শট খেলতে গিয়ে কভারে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দেন ভুবনেশ্বর কুমার। এটি অর্জুনের আইপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট।
২৩ বছর বয়সী অর্জুন টেন্ডুলকার ম্যাচে ২.৫ ওভারে ১৮ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন। এর আগে ইনিংসের প্রথম ও তৃতীয় ওভারও নতুন বলে বল করেছিলেন তিনি। এর আগে ১৬ এপ্রিল অর্জুন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে আইপিএলে অভিষেক করেছিলেন। এরপর ২ ওভারে দেন ১৭ রান। তবে দুই ম্যাচেই এখনো ব্যাট করার সুযোগ পাননি তিনি। আইপিএলে উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে বাবা শচীন টেন্ডুলকারের চেয়ে এগিয়ে অর্জুন টেন্ডুলকার। শচীন ২০০৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত টানা ৬ মৌসুমে মাঠে নেমেছিলেন, কিন্তু তিনি আইপিএলে একটি উইকেটও নিতে পারেননি।
শচীন টেন্ডুলকার একটি সেঞ্চুরি এবং ১৩টি হাফ সেঞ্চুরির সাহায্যে ২৩৩৪ রান করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের কথা বলতে গেলে, শচীন টেস্টে ৪৬ উইকেট, ওয়ানডেতে ১৫৪টি এবং আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে একটি উইকেট নিয়েছেন। তিনি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৭১ উইকেট এবং লিস্ট-এ ক্রিকেটে ২০১ উইকেট নিয়েছেন। আইপিএলের কথা বলতে গেলে, শচীন ২০০৯ সালেই বোলিং করেছিলেন। এই সময়ে, তিনি ৬ ওভারে একটি উইকেট পাননি এবং প্রায় ১০ এর অর্থনীতিতে ৫৮ রান দেন।