বিপাকে বাবা রামদেব! “করোনীল” করোনার ওষুধ নয়, দাবি পতঞ্জলির
করোনা সারবে বলে দাবি করে বাজারে ওষুধ এনেছিল বাবা রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি৷ সংস্থার এই দাবি ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রক৷ এবার রামদেবের সংস্থার সেই ওষুধ করোনিল নিয়ে মামলা গড়াল রাজস্থান হাইকোর্টে৷ এই ওষুধের প্রচার এবং বিক্রি বন্ধ করার দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে৷ এস কে সিং নামে এক আইনজীবী এই মামলাটি করেছেন৷ আগামী সপ্তাহেই এই আবেদনের শুনানি হতে পারে৷
এদিকে প্রতারণার অভিযোগ উঠতে না উঠতেই করোনিল নিয়ে উল্টো সুরে গান গাইতে শুরু করলো পতঞ্জলি। শুরু থেকেই এই ওষুধকে করোনার প্রতিষেধক দাবি করে আসা আয়ুর্বেদিক সংস্থা এখন উল্টো গান গেয়ে বলছে, কোরোনিল মোটেই করোনার ওযুধ নয়। বরং শরীরে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোই এই ওষুধের প্রধান কাজ। বাবা রামদেবের সংস্থার এমন পাল্টি খাওয়া দেখে অনেকের মনেই পতঞ্জলি কোম্পানির উপর সন্দেহ দৃঢ় হচ্ছে। আবার অনেকে বলছেন, প্রতারণার অভিযোগে জেলের মামলা ঠেকাতেই এখন উল্টো পথে এগোচ্ছেন বাবা রামদেব ও সংস্থার সহ-কর্ণধার আচার্য বালকৃষ্ণ।
হাইকোর্টে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলায় আবেদনকারী অভিযোগ করেছেন, করোনিল নামে এই ওষুধটির ট্রায়াল পর্বে সব নিয়ম মানা হয়নি৷ ট্রায়ালের আগে সরকারি অনুমতি নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে৷ ফলে এই ওষুধটির লাইসেন্স সহ অন্যান্য সরকারি প্রক্রিয়াগুলি নিয়ে সমস্যা না মিটছে, ততদিন পর্যন্ত রাজস্থানে ওষুধটির প্রচার এবং বিক্রির উপরে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করার আবেদন জানানো হয়েছে৷
পতঞ্জলির তরফে যে হাসপাতালের ৫০ জন রোগীর উপরে করোনিলের পরীক্ষা করার দাবি জানানো হয়েছিল, সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও এই মামলায় যুক্ত করা হয়েছে৷ এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রক, পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ, আইসিএমআর, রাজস্থান সরকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে এই মামলার অংশীদার করা হয়েছে৷ গত শুক্রবার রাজস্থানের জয়পুরের জ্যোতিনগর থানায় করোনিল ওষুধটি নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারের অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়েছিল৷ সেই এফআইআর-এ বাবা রামদেব সহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়৷