চরম সংকটে আইসিটির কম্পিউটার শিক্ষকরা! চাকরি বাঁচাতে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন!


ICT computer teachers in extreme crisis! Appeal to the state government to save jobs!
বর্তমানে চলতি বছরের করোনা পরিস্থিতির কারণে সেই মার্চ মাস থেকে বন্ধ আছে স্কুল কলেজ। এর ফলে চরম সংকটে পড়েছেন স্কুলের কম্পিউটার শিক্ষকরা।এজেন্সী মুক্ত করে সরাসরি রাজ্যের হস্তক্ষেপ দাবি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ও সরকারী অধীনস্ত স্কুলগুলিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষকদের চাকরী হারানোর সমস্যা নিয়ে রাজ্যসরকারের দারস্থ হলো। স্কুল আবার নতুন করে কবে খোলা যাবে সে সম্পর্কে এখনো কোনো নির্দেশিকা পাওয়া যায়নি। তাই চরম হতাশায় ভুগছেন আইসিটি কম্পিউটার শিক্ষকরা। তাদের কর্মী ছাঁটাই হলে তাদের সঙ্গে সঙ্গে যে ছাত্ররা স্কুলে কম্পিউটার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবেন সেই আশঙ্কাও দেখা গেছে।
অমানবিক ব্যাপার হলো যে আজ নয়, দীর্ঘ সাত বছর ধরে তাদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। ২ রা এপ্রিল ২০১৯ , এ তাঁদের ওপর মাত্রাছাড়া শোষণ চালানো হয়। এনিয়ে IL & FS এর কাছে অভিযোগ করতে গেলে গুন্ডাবাহিনী দিয়ে লাঠিচার্জ করানো হয়। সেদিন লাঠির আঘাতে ৪৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা গুরুতরভাবে আহত হন। এর এখনো কোনো সুরাহা। করা যায়নি।
তাঁরা বলেন যে শুধুমাত্র কম্পিউটার শেখানোর কাজী নয় তারা আরও অনেক ধরনের কাজকর্ম করে থাকেন যেমন ৫ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীদের কম্পিউটারের theory ও practical ক্লাস নেওয়া, প্রতি সপ্তাহে ২৪ টি করে ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া, রোজ ইমেল চেক করা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠানো , স্কুল শিক্ষকের বেতন জমা দেওয়ার কাজ, কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী , ঐক্যশ্রী , প্রাক ম্যাক্টিক বৃত্তি , ডেটা এন্ট্রি ছাড়াও কম্পিউটার সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ। আবার শুধু তাই নয় অতিরিক্ত পারিশ্রমিক ছাড়াও তারা অনলাইন কাজ করেন ছুটিতে।
আইসিডিএস স্কুল প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করেন যে সরকারি তরফে এই সমস্ত শিক্ষকদের বেতন 10 হাজার টাকা নির্ধারিত করা হলেও এখনও তারা সে বেতন পান না। এছাড়াও তাঁরা আজ সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। সেগুলি হলো- শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপযুক্ত সম্মান দেওয়া, আইসিটি শিক্ষকদের এজেন্সি মুক্ত করে সরাসরি সহকারী পদে বহাল করা, কম্পিউটার সাবজেক্ট টিকে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা।
প্রসঙ্গত 2009 সালের একটি বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের তরফ থেকে দাবি করা ঘোষণা করা হয়েছিল যে আইসিটির কম্পিউটার শিক্ষকরা এবার থেকে 10 হাজার টাকা করে বেতন পাবেন এবং প্রতি বছর তিন পারসেন্ট ইনক্রিমেন্ট বাড়বে কিন্তু হাস্যকর বিষয় হলো এখনো সেই প্রতিশ্রুতি পালন করা যায়নি এখনো পর্যন্ত ওই কম্পিউটার শিক্ষকদের বেতন 7000 টাকায় রয়ে গেছে এখনকার অন্যান্যদের তুলনায় অনেক লম্বা একজন দিনমজুরের মজুরি সমান বলে ধরা হয়। সরকার যে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেন স্কুলের পেছনে তার বেশিরভাগটাই WEBEL নিযুক্ত থার্ডপার্টি কোম্পানি ( SchoolNet India Pvt.Ltd, Extramarks, Acess) মুনাফা হিসাবে পায়। তাই এই শিক্ষকদের ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত আর কিছুই জোটে না। তাই এতদিন ধরে এই অনাচার সহ্য করে এবার প্রতিবাদী হয়ে উঠেছেন তারা।