সময়টা গত বছরের নভেম্বর মাস। গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সেই জেলাতেই জনসভায় দাঁড়িয়ে অনুব্রতকে ‘বীরভূমের বাঘ’ তকমা দিয়েছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয় মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এরপরেও একাধিক বার জেলবন্দি নেতাকে ‘বীরভূমের বাঘ’ সম্বোধন করেছেন তিনি। এখন সেই ‘বন্দি বাঘ’ হুঙ্কার ভুলে উল্টোসুরে গাইছেন। মেয়ে সুকন্যা গ্রেপ্তার হতেই আদালতে জামিন পেতে কাকুতিমিনতি জুড়লেন অনুব্রত মণ্ডল।
বুধবার রাতে ইডি গ্রেপ্তার করেছে অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে। বৃহস্পতিবার আসানসোল আদালতে ভার্চুয়াল শুনানি ছিল অনুব্রত-র৷ সেই শুনানি চলাকালীন বিচারকের কাছে জামিনের জন্য কাকুতিমিনতি করলেন তিনি৷ জামিন অবশ্য মেলেনি। জামিন প্রার্থনার প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।
আসানসোল আদালতে গরু পাচার সংক্রান্ত সিবিআই-এর মামলার ভার্চুয়াল শুনানিতে তিহাড় জেল থেকে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত এবং তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেন। আসানসোল আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী অনুব্রত মণ্ডলকে প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনি যে আসানসোল জেলে ফেরার আবেদন করেছিলেন দিল্লি হাইকোর্টে তার স্ট্যাটাস কী?’’ উত্তরে অনুব্রত বলেন, ‘‘স্যর এখনও সেটা চলছে। আমাকে আসানসোল জেলে ফেরত চেয়ে নিন।’’ জবাবে বিচারক জানান, ‘‘ওটা তো হাইকোর্টের বিষয়। আমার হাতে নেই।’’ এরই মাঝে সিবিআই-এর মামলাকে ‘ফলস কেস’ বলে অভিহিত করে জামিন দিতে বিচারককে অনুরোধ করেন অনুব্রত। আইনজীবীর আবেদন ব্যতীত, দু’পক্ষের আইনজীবীর কথা না শুনে এবং শুনানি ছাড়া জামিন দেওয়া সম্ভব নয় বলে অনুব্রতকে জানিয়ে দেন বিচারক।