প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা বেআইনি চাকরির বিরুদ্ধে লড়াই করে চাকরি পেয়েছিলেন শিলিগুড়ির ববিতা সরকার। এবার ভুল তথ্য দেওয়ার অপরাধে চাকরি গেল তাঁর। “অনেক কঠোর পদক্ষেপ করতে পারতাম” বলে ববিতাকে তিরস্কার করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতেই কেঁদে ফেললেন চাকরি হারানো ববিতা।
পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতার চাকরিকে বেআইনি দাবি করে আদালতে মামলা করেন ববিতা সরকার। দুর্নীতির অভিযোগে চাকরি যায় অঙ্কিতার। তাঁর পাওয়া মাইনের টাকা একাধিক কিস্তিতে ববিতাকে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসাবে অঙ্কিতার স্থানে ববিতাকে বহাল করা হয়। এরপরেই মেধাতালিকায় ববিতার ঠিক পরেই থাকা শিলিগুড়ির বাসিন্দা অনামিকা বিশ্বাস রায় মামলা করে অভিযোগ আনেন, ববিতা আবেদনপত্রে স্নাতক স্তরের নম্বর বেশি দেখানোয় একাডেমিক স্কোরে বেশি পেয়েছেন, যা বেআইনি।
মঙ্গলবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, ববিতার চাকরি অনামিকা বিশ্বাস রায়কে দিতে হবে৷ আদালতে ববিতাকে তিরস্কার করে অঙ্কিতার কাছ থেকে পাওয়া মোট ১৫ লক্ষ ৯২ হাজার ৮৪৩ টাকা ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দেন। আগামী ৬ জুনের মধ্যে ববিতাকে ১৫ লক্ষ টাকা হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী বুধবারের মধ্যে তাঁকে ১১ লক্ষ টাকা দিতে হবে। যদিও বেতন হিসাবে পাওয়া টাকা ফেরত দিতে বলা হয়নি।
চাকরি বাতিলের নির্দেশ শোনার পরই কেঁদে ফেলেন ববিতা। টাকা ফেরতের জন্য সময় চান। ববিতাকে তিরস্কার করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আপনি আদালতকে যে ভাবে ভুল তথ্য দিয়ে পরিচালনা করেছেন, চাইলে আমি কড়া পদক্ষেপ করতে পারতাম। এই ক’দিনে আপনি যা বেতন পেয়েছেন তা ফেরত নেওয়া হচ্ছে না। এটুকু সান্ত্বনা নিয়ে হাই কোর্ট থেকে যান।”