রাজ্য সরকারের নতুন শিক্ষানীতির খসড়ায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভাবনাকে অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রীসভা। রাজ্যের প্রস্তাবিত শিক্ষানীতিতে সরকারি স্কুল শিক্ষকদের একটি নির্দিষ্ট সময় গ্রামে গিয়ে পড়ানো বাধ্যতামূলক করার ভাবনা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলা ভাষাকে বাধ্যতামূলক করে আরও গুরুত্ব দেওয়ার ভাবনা নেওয়া হয়েছে।
সোমবার ছিল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেখানে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে রাজ্যের নতুন শিক্ষানীতিকে। প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা পড়ানো বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষানীতিতে দশম শ্রেণির পরীক্ষা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব থাকলেও রাজ্য মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকছে। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে শুরু করতে পারে সেমেষ্টার পাঠক্রম। সেই সঙ্গে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য রাজ্যের নিজস্ব ‘স্টেট রিসার্চ ফান্ড’ গড়ে তোলার ভাবনা নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিসভার অনুমোদিত রাজ্য শিক্ষানীতি কার্যকর হলে প্রথম ও দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে বাংলা ও ইংরাজি রাজ্যের সব সরকারি ও বেসরকারি অনুমোদিত স্কুলগুলিতে বাধ্যতামূলক হতে পারে। তৃতীয় ভাষা হিসাবে স্থানভেদে আঞ্চলিক ভাষাকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে নিয়োগের পর চাকরিজীবনের একটি নির্দিষ্ট সময় গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষকতা করতে হবে শিক্ষকদের। নিয়োগের সময় এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।