সম্প্রতি সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর দীনবন্ধু অ্যাণ্ড্রুজ কলেজে ১৯৮৭ সালে চাকরি পাওয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তারই প্রেক্ষিতে চাকরি পাওয়ার বৈধতা নিয়ে তদন্ত করতে হবে কি না তা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেই ঠিক করবেন বলে সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার তৃণমূলের তরফে টুইট করে সরাসরি কোনো পরীক্ষা না দিয়েই দীনবন্ধু অ্যাণ্ড্রুজ কলেজে চাকরি করার অভিযোগ আনা হয়েছে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ করা হয়েছে, সেই চাকরি ৩৪ বছর ধরে তিনি দীনবন্ধু অ্যাণ্ড্রুজ কলেজে চাকরি করেছেন এবং ২০২১ সালে ৫৫ হাজার টাকা বেসিক পে সহ অবসর নিয়ে এখন পেনশন পাচ্ছেন।
- Advertisement -
এইদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিএম-কে তীব্র আক্রমণ করেন ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, “সিপিএম রাজনৈতিক দল নয়, একটা সভা। অ্যাটিটিউড, যার প্রধান লক্ষণ কাজ না করে বড় বড় কথা বলা। অন্যের কাজে খুঁত ধরা।” সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “১৯৭৯ সালে তৈরি হয়েছিল কলেজ সার্ভিস কমিশন। তখনও গ্রুপ সি এবং ডিকে ওরা কলেজ সার্ভিস কমিশনের আওতায় আনেনি। নথি থেকে তাই পরিষ্কার নয় যে, ওঁর ক্ষেত্রে পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ হয়েছিল কি না।” তিনি আরও বলেন, ‘‘সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী কোন কলেজে চাকরি করেন, কাল অবধি জানতামই না।” চাকরি পাওয়া নিয়ে তদন্ত করতে হবে কি না তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
- Advertisement -